নেপথ্যে চোরাচালানের ৫কেজি সোনা লুট শার্শা থেকে অপহরণের ৫দিন পর যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ , নভেম্বর ১৭, ২০২৩

যশোরের শার্শা উপজেলা থেকে নিখোঁজের ৫দিন পর ওমর ফারুক ওরফে সুমন (২৬) নামে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার মাগুরা-ঝিনাইদহ সড়কের পাশের একটি ঝোপ থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করে মাগুরা ও যশোরের ডিবি পুলিশ। চোরাকারবারীদের তিন কেজি সোনা লুটের অভিযোগে তাকে অপহরণ করা হয়।

ওমর ফারুক সুমন শার্শা থানাধীন টেংরালী গ্রামের ওসমান আলীর ছেলে ও পেশায় রংমিস্ত্রি ছিলেন। এ ঘটনায় অপহরণের শিকার ওমর ফারুকের মাতা মোছাঃ ফিরোজা বেগম (৫০) বেনাপোল পোর্টথানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বেনাপোল পোর্ট থানার মামলা নং-১৫ ও তারিখ ১৪-১১-২-০২৩ ইং। এজহার সূত্রে মামলার আসামীরা হলো যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানাধীন বেনাপোল পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বড় আচড়া গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের ছেলে কামাল হোসেন (৪০), সাদীপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মোঃ এজাজ রহমান (২৮),শার্শা থানাধীন শালকোনা গ্রামের ইমান আলীর ছেলে তরিকুল ইসলাম (২৫) ও একই গ্রামের বাটুলের ছেলে পলাশ হোসেন (২৬)। এছাড়াও মামলায় ৮/১০জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে। তবে, মামলার আসামিরা আটক হয়নি।

নিহতের পরিবার ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর দুপুরে ওমর ফারুক বাসা হতে কালো রঙের পালসারযোগে পাত্রি দেখার উদ্দেশ্যে বের হয়ে আর ফেরেননি। ১২ নভেম্বর সকালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ফোন কলে পরিবার জানতে পারে তিনি অপহৃত হয়েছেন। বুধবার মাগুরা জেলার আমখালীর নির্জন বাগানে সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়।
সুমন অপহরণ ঘটনায় এলাকায় নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে।

যশোরের ডিবি পুলিশ জানায়, একটি চোরাকারবারি চক্রের তিন কেজি সোনা লুটের অভিযোগে গত ১১ নভেম্বর বিকেল ৩টার দিকে একটি গ্রুপ শার্শা থেকে সুমনকে অপহরণ করে অজ্ঞাত একটি স্থানে আটকে রাখে। পরে চোরাকারবারীরা তার মাকে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। এরপর তার মা ফিরোজা বেগম বেনাপোল পোর্ট থানায় অপহরণের মামলা করেন।

পরে মাগুরা থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করলে তার মা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শংকর কুমার বিশ্বাসকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারা অর্ধগলিত মরদেহটি দেখে সেটি সুমনের বলে শনাক্ত করেন। পরে লাশটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।

উদ্ধার মরদেহটি বেনাপোল পোর্ট থানার অপহরণ মামলার ভিকিটিম ওমর ফারুকের। মরদেহটি বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বেনাপোল সীমান্তের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ৩ কোটির অধিক মূল্যের সোনা ছিনতাই ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই বহনকারী ওমর ফারুক সুমনকে বেনাপোল পোর্ট থানা হতে ২৫০ গজ দূরের একটি তৃতীয়তলা ভবনের কক্ষে আটকে রাতভর মারধরসহ অমানবিক নির্যাতন চালানো হয়।

প্রশাসনের একাধিক সংস্থা ইতিমধ্যে ঘটনাটির সিজিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে বলে জানা গেছে।

Loading