চট্টগ্রাম পটিয়া পৌরসভা গোবিন্দারখীল
৮ নং ওয়ার্ডে  বাড়ি নির্মাণ কাজে বাধা প্রদান ও চাঁদা দাবির অভিযোগে মঙ্গলবার ( ২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২ টায় পটিয়া প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল নোমান।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গত ২৪ সেপ্টেম্বর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে জাহাঙ্গীর আলম (৩৬), আবদুল বায়েছ (৬৩), ফরিদ আহমেদ (৪৮) সহ অজ্ঞাতনামা ১০ /১২ জনের বিরুদ্ধে সিআর মামলা ৫৯৮/২৩ দায়ের করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, গোবিন্দারখীল মৌজায় . ১১৫ শতাংশ জমি মোঃ বদিউল আলম বাবুল থেকে খরিদ করে নামজারী পূর্বক পটিয়া পৌরসভা থেকে বাড়ি নির্মানের অনুমোদন নিয়ে কাজ শুরু করেন। বাড়ি নির্মাণে কাজ করতে গেলে বিবাদীরা বাধা প্রদান করে। তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি দিয়ে নির্মাণকৃত জায়গা আমমোক্তারনামায় মালিক দাবি করে, তার বিপরীতে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০ সেপ্টেম্বর ২৩ ইং তারিখে বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনাধিকার প্রবেশ করে আবদুল্লাহ আল নোমানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং মারধর করকে উদ্যত হয়। এসময়ে তার কাছ নগদ ৫ লাখ টাকা দাবি করে, অন্যথায় ওই জমিতে ঘর নির্মাণ করতে পারবে না বলে কাজ বন্ধ করে দেয়।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগী আবদুল্লাহ আল নোমান আইনের শরণাপন্ন হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত সরাসরি মামলাটি আমলে নিয়ে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে এফআইআরের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন পটিয়া থানাকে।
মামলার বিষয়ে আসামিগণ জানতে পেরে আবদুল্লাহ আল নোমানকে মিথ্যা মামলা দিবে এবং প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করেন। আবদুল্লাহ আল নোমানকে আরো বলেন এই চাঁদাবাজ, ভূমিদস্যুদের গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের সঠিক বিচার ও জানের নিরাপত্তা চাই।

এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি তদন্ত সাইফুল ইসলাম  বলেন আদালতের নির্দেশে মামলাটি পটিয়া থানায় এসেছে, এফআইআরের কাজ চলমান রয়েছে।