যশোর জেলা পুলিশের আয়োজনে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের বিশাল আলোচনা সভা মোঃ আইয়ুব হোসেন পক্ষী মোঃ আইয়ুব হোসেন পক্ষী বেনাপোল ,শার্শা প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২৮, ২০২৩ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শার্শা ও বেনাপোল থানার যৌথ উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবসের বিশাল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টার সময় জেলা পুলিশের আয়োজনে শার্শা ও বেনাপোল পোর্ট থানার যৌথ উদ্যোগে উপজেলার শার্শা সরকারি পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শার্শা থানার ওসি এসএম আকিকুল ইসলাম ও বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি কামাল হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশাল এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর -১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন৷ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার,বিপিএম (বার) পিপিএম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, শেখ মুজিব শুধু একজন ব্যক্তি না তিনি আদর্শ, চেতনা ও জীবনাচরণের আরেক নাম। তিনি দেখিয়েছেন কীভাবে মানুষকে ভালোবেসে অসাধ্য সাধন করা যায়। দেশ বিরোধীদের চক্রান্তে স্বাধীনতার ফসল তোলার আগেই তার জীবন স্তিমিত করে দেয়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার কন্যা সব হারিয়ে এ দেশের মানুষকে স্বজন ভেবে শোককে শক্তিতে পরিণত করেন। বাঙালি জাতির জন্য সৃষ্টি করেন নতুন এক দর্শন। সেই দর্শনে মানবিকতা ও উন্নয়নের নতুন দ্বার উন্মোচন করেছেন তিনি। যে দর্শন উন্নয়নের মহীসোপানে নিয়ে যাচ্ছে দেশকে। সেই অদম্য অগ্রযাত্রা থামানোর সাধ্য কারো নেই। যারা উন্নয়ন অগ্রগতি বাধাগ্রস্তের অপচেষ্টা চালাবেন তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। বিশেষ অতিথি যশোর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার) পিপিএম। তাঁর বক্তব্যের শুরুতেই পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের যে সদস্যরা শাহাদাত বরণ করেছিলেন,তাঁদের আত্মার শান্তি কামনা করেন। তিনি বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাস বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস। বাংলা, বাঙালি,বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন সূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন, তাঁর নেতৃত্বেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি এবং বিশ্বের বুকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। লাল-সবুজের একটি পতাকা পেয়েছি।’ তিনি আরও বলেন,একাত্তরের পরাজিত শক্তিরাই বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল,কিন্তু তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও আদর্শ বাঙালির কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারেনি। আমাদের সৌভাগ্য,বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাঁর নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ, যেটা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।’ পুলিশ সুপার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে উপস্থিত সবার প্রতি একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন,‘স্মার্ট বাংলাদেশে থাকবে স্মার্ট সিটিজেন,স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি- এককথায় সবকিছু হবে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে।’ তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতু হয়েছে,মেট্রোরেল হয়েছে,মহাসমুদ্র থেকে মহাকাশ বিজয় হয়েছে। এখন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ অতি অল্প সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করতে পারেন।’ শোক সভার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নাভারন সার্কেলের সিনিয়র এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান, ডিআইও -১ (ডিএসবি) মামুন খান, শার্শা উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সিরাজুল হক মঞ্জু,উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার ফারজানা ইসলাম ,যশোর জেলা পরিযদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান সালে আহম্মদ মিন্টু, বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন, যশোর জেলা ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার পিপিএম (বার),উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফফর হোসেন,বেনাপোল পৌরসভার আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব এনামুল হক মুকুল, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ, বেনাপোল পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর, উপজেলার প্রতিটি ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সহ বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী। আলোচনা সভা শুরু আগের ১৫ আগস্টে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবন নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের উপজেলা বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। শেয়ার বাংলাদেশ বিষয়: