আবারো ডুবল চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ , আগস্ট ২৭, ২০২৩

টানা কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ফের ডুবেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বিভিন্ন নিচু এলাকা। এতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি চরম দুর্ভোগে পড়েছে রোববার থেকে শুরু হওয়া উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। আর বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কবলে পড়ে যথাসময়ে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন অভিভাবকরা।

শনিবার মধ্যরাত থেকে কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনও মুষলধারে বৃষ্টি ঝরছে চট্টগ্রামে। আর টানা এ বৃষ্টিতে বরাবরের মতই তলিয়ে গেছে নগরীর অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকাগুলো।

রোববার সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নগরীর দুই নম্বর গেইট, জিইসি, মুরাদপুর, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, ফিরিঙ্গী বাজার, বক্সিরবিট, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে হাঁটু থেকে কোমর পানিতে।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতির কারণে চট্টগ্রামসহ তিন শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা পেছানোয় এসব বোর্ডে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। তাতেও যেন ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের। জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বড় ভোগান্তিতে পড়েছে তারাই।

জলাবদ্ধতা চট্টগ্রামের অন্যতম বড় সমস্যা। গত কয়েক দশক ধরেই জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে চলছে নগরবাসী। জলাবদ্ধতা নিরসনে ১৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার চারটি বড় সরকারি প্রকল্প চলছে বছরের পর বছর। এ চার প্রকল্পের প্রতিটিরই সময় ও ব্যয় বাড়লেও সুফল মিলছে না।

বড় চার প্রকল্পের মধ্যে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) হাতে। ২০২১ সালে প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি করে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামের এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে। জলাবদ্ধতা নিরসনে আরেকটি বড় প্রকল্প ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ এ প্রকল্পটিও সিডিএর হাতে। ২ হাজার ৩১০ কোটি টাকার এ প্রকল্পে ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে ৬৫ শতাংশ কাজ।

Loading