আ,লীগ সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না!আমির খসরু মাহমুদ

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ , মে ২৮, ২০২৩

ইফতে খাইরুল আলম, স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,আওয়ামী লীগ আজকে কোন রাজনৈতিক দল নেই,এরা বিক্রি হয়ে গেছে অফিসারদের কাছে,পুলিশের কাছে,দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ীর কাছে।এদের কোন রাজনৈতিক ভবিষ্যত নেই। শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক দল হিসেবে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমাদের নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আমাদেরকে বলীয়ান করেছে,শক্তিশালী করেছে,ইমানদার করেছে। এই জন্যই আমাদের আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে হবে। তারা পরাজয় হতে বাধ্য। অপশক্তি,দুর্নীতিবাজ কর্তৃত্ব পরায়ন কোন দিন জনগণের সামনে দাঁড়াতে পারেনা। শনিবার (২৭ শে মে) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্থ আদালত ও সরকারের অবজ্ঞা, গায়েবি মামলায় গ্রেফতার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশী হয়রানী,আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে নোয়াখালী প্রেসক্লাব সড়কে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বলেন,ওরা জানে এ জন্য তলে তলে কাজ করছে যেন তাদের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। এ খেলা আর চলবেনা, সরকারের কিছু দালাল গণমাধ্যমে আছে,রাজনীতির মাঠে কিছু দালাল আছে, পেশাজীবীদের মধ্যে কিছু দালাল আছে,তথা কথিত বুদ্ধিজীবী ও আছে। এরা শুধু কোন মতে বিএনপিকে শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তালবাহানা করছে। পরিষ্কার করে বলতে চাই,শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশের কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা।বিএনপিকে না নিয়ে তারা নির্বাচন করুক। এ সময় তিনি আরও বলেন, আমাদের সাথে বাংলাদেশের জনগণ আছে। তাদের সাথে আছে আওয়ামী পুলিশ,আওয়ামী সরকারি কর্মকর্তা, আওয়ামী দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী,আওয়ামী দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবীদ। যে দেশের মানুষ নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সিন্ধান্ত নিয়ে পেলে,সে দেশের মানুষের সামনে কেউ দাঁড়াতে পারেনা। বাংলাদেশের মানুষ সিন্ধান্ত নিয়েছে শেখ হাসিনার অনির্বাচিত সরকারকে বিদায় দেওয়ার জন্য। আমরা কেন জিতব জানেন। বিএনপির নেতাকর্মিরা জ্বলে পুড়ে খাটি সোনায় পরিণত হয়েছে। আর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিরা লুটপাট করে পেট বড় হয়ে গেছে। পেটের ওজনে তারা হাটতে পারছেনা। আর আমরা সবাই পিট। পিট পর ফাইট। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের প্রসঙ্গ টেনে এ নেতা বলেন, তাদের শান্তি সমাবেশে আছে কেউ। শান্তি সমাবেশে যতজন আওয়ামী লীগের লোক তার থেকে পুলিশ বেশি। কি একটা অবস্থা,কি দূর অবস্থা, কি অসহায় অবস্থা। আগামী দিনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড সৃষ্টি করতে হবে। গণতান্তিক অর্ডার,নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। তারপর থেকে শুরু হবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া। আমি আগেও বলেছি বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে আমরাই তো অবশ্যই আমরা জয়ী হব। যারা জিতবে না তারা নির্বাচনে ভোট চুরির প্রকল্প করেছে। এসব প্রকল্প ভেঙ্গে দিতে হবে,স্বমূলে ধ্বংস করে দিতে হবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। বিএনপি ওই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করবে। লেভল প্লেয়িং করার জন্য অবশ্যই খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। যত কারাবান্দি আছে সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। অবৈধ অস্ত্রের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, অবৈধ অস্ত্র যাদের আছে তারা এমনিতেই পালিয়ে যাবে। যারা অস্ত্র বহন তারা সব চেয়ে বড় ভিতু। আমাদের অস্ত্র হচ্ছে মনোবল। আপনারা মনোবল নিয়ে এগিয়ে যাবেন অস্ত্রবাজ পালিযে যাবে। যারা এই ন্যায় নীতির আন্দোলনকে বাধা গ্রস্থ করবে তারাও পালিয়ে যাবে। এ সময় নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় ও জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম হায়দার বিএসসি এর সভাপতিত্বে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু,বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য জয়নাল আবেদিন ফারুক, বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন,বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান,নোয়াখালী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র হারুন রশীদ আজাদ প্রমুখ।

Loading