স্ত্রীর তালাক নোটিশ পেলেন জাহাঙ্গীর

প্রকাশিত: ৩:১৭ অপরাহ্ণ , মে ১৬, ২০২৩

নারী নির্যাতনের অভিযোগ এনে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের কাছে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠালেন তার স্ত্রী কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ী। আওয়ামী লীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের পরপরই স্ত্রীর কাছ থেকে তার বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সামাজিক যেগিাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তালাকের নোটিশের ছবিতে দেখা যায় গত ৩০ এপ্রিল তালাকের নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। নোটিশে তিনি মানসিক নির্যাতন, অত্যাচার ও ভরণপোষণ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে।

নোটিশে বলা হয়, ২০১১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি মিরপুরের বাসিন্দা কাজী ইকবাল বাহার ও মিসেস ফরিদা ইকবালের মেয়ে কাজী রাজিয়া সুলতানা জয়ীর সঙ্গে গাজীপুরের মিজানুর রহমান ও জায়েদা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে জাহাঙ্গীর আলম স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন ও অত্যাচার করায়, নিয়মিত ভরণপোষণ না দেওয়ায়, সংসার জীবনে অশান্তি শুরু হয়। এসব অভিযোগের কারণে জয়ী ১৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী জাহাঙ্গীর আলমকে তালাকের নোটিশ দেন।
১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী, নোটিশ পাঠানোর ৯০ দিন পর পর্যন্ত সম্পর্কের উন্নতি না হলে চূড়ান্তভাবে তালাক কার্যকর হবে।

নোটিশের বিষয়ে জানতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে ফোন করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র নোটিশের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে সোমবার বিকেলে গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমকে স্থায়ীভাবে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে জাহাঙ্গীর ২০২১ সালের নভেম্বরে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ হারিয়েছিলেন। পরবর্তীতে দলের ২২তম সম্মেলনে নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে ক্ষমা করা হয়েছিল।
গাজীপুর সিটির সর্বশেষ ভোট হয়েছে ২০১৮ সালের ২৭ জুন। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনের সময় গণনা শুরু হয় ২০২৩ সালের ১১ মার্চ। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন।

Loading