বিকালে উপকূল পেরিয়ে যাবে মোখা

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ , মে ১৪, ২০২৩

কক্সবাজার ও মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করছে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২১৫ কিলোমিটার। বিকালের পর উপকূল অতিক্রম করবে মোখা। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সকাল ৯টায় কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।

এছাড়া চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৩৫ কি.মি দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৫০ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রোববার সকাল ১০টায় আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস খবরে এ তথ্য জানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঘূর্ণঝড় মোখা বর্তমানে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রমরত আছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আজ বিকাল নাগাদ সিটুয়ের (মায়ানমার) নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

সেন্টমার্টিন, টেকনাফসহ কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম ও পায়রাকে ৮ নম্বর এবং মোংলা বন্দরকে ৪ সংকেত দেখানোর নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল। কক্সবাজারে সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এবং এর কাছাকাছি দ্বীপ ও চরের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। কক্সবাজারে দেড় হাজারের বেশি আশ্রয় কেন্দ্রে বিভিন্ন স্থান থেকে কয়েক লাখ মানুষকে সরিয়ে আনা হয়েছে।

চট্টগ্রামেও গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। রাত থেকে হচ্ছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। মোখা মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পাহাড়ধস ও জলোচ্ছ্বাস আতংকে পাহাড়ী এলাকা এবং উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৮৮ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ভোলা-বরিশালেও রয়েছে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। বিভিন্ন চরাঞ্চল থেকে সকালেও মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে দেখা গেছে। ভোলায় ৫২টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

এছাড়া, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি, পিরোজপুর ও বরগুনাসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।

Loading