‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রামে প্রস্তুত ৯ হাজার পুলিশ

প্রকাশিত: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ , মে ১৪, ২০২৩

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ৯ হাজার সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তার মধ্যে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে ৭ হাজার ও জেলার পাঁচ উপকূলীয় উপজেলাসহ ১৭টি থানার ২ হাজার পুলিশ সদস্যকে ব্যাকআপ ফোর্স হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

রোববার (১৪ মে) সকালে সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণপদ পদ রায় ও জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য ছাড়াও সিএমপির সদর দপ্তরে ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দুটি কন্ট্রোল রুম চালু রাখা হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়া ফাঁকা বাসা চুরি-ডাকাতি মোকাবিলায় নজরদারি জোরদার করেছে পুলিশ।

কৃষ্ণপদ রায় বলেন, মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটকে দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দূর্যোগকালীন যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৭ হাজার অফিসার-ফোর্স প্রস্তুত আছে। পতেঙ্গা সি বিচ, পারকি বিচ, মেরিন ড্রাইভ রোডসহ বিভিন্ন দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় মাইকিং ও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সিএমপির এডিসি (ক্রাইম) মো. জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে ২৪ ঘণ্টা নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মোবাইল নম্বর সমুহ-০১৬৭৬১২৩৪৫৬, ০১৩২০০৫৭৯৮৮, ৬৩০৩৫২, ৬৩০৩৭৫ ও ৬৩৯০২২।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার উপকূলীয় পাঁচ উপজেলার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি কমাতে এবং নিরাপদে লোকজনকে আশ্রয় নিতে কাজ করছে জেলা পুলিশ। ৬টি উপকূলীয় থানা এলাকায় ব্যাপক মাইকিং করা হচ্ছে। একই সঙ্গে এসব এলাকায় চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি প্রতিরোধ করতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে একটি জরুরি সেবা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবীর আহমদকে ০১৩২০-১০৭৪০২, ০১৩২০-১০৮৩৯৮, ০১৩২০-১০৮৩৯৯ ও ০২-৪১৩৫৫৫৪৯ এই চারটি নম্বর তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যায় পড়লে থানা অথবা জেলা পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন দেবেন। আমাদের টিম উদ্ধার তৎপরতা, জনসাধারণের চিকিৎসা সেবাসহ যেকোনো জরুরি সেবা দিতে তৎপর থাকবে। ১৭টি থানায় দায়িত্বরত এবং ব্যাকআপ হিসেবে ২ হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রয়েছে।

Loading