রামগড়ে বিজিবি মহাপরিচালকের স্হল বন্দরের ইমিগ্রেশন ভবন পরিদর্শন

বাহার উদ্দিন বাহার উদ্দিন

রামগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১০:২২ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১৫, ২০২৩

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ র (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একেএম নাজমুল হাসান বিএএম, এনডিসি, পিএসসি খাগড়াছড়ির রামগড়ে স্হল বন্দরের জন্য তৈরী মৈত্রী সেতু ও ইমিগ্রেশন ভবন পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার পরিদর্শনকালে তিনি বলেছেন, রামগড় স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে ভারতের সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিএসএফের পক্ষ থেকে এখন আর কোন বাধা নেই। বন্দর কর্তৃপক্ষ যে কোন সময়ে নির্মাণ কাজ শুরু করতে পারবে। তিনি বলেন, এ স্থলবন্দর চালু হলে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে। এতে এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থার ব্যাপক উন্নতি হবে।
তিনি আরো বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু প্রতিম দেশ, সব সময় আমাদের পাশে থাকে। মৈত্রী সেতু দুদেশের জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু করার জন্য আন্ত:মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ ক্ষেত্রে বিজিবিও এখানে দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হবে বলে তিনি আশা করেন।
সীমান্তের দেড়শ গজের মধ্যে স্থাপিত ৩৬ টি পাম্প হাউজের মাধ্যমে ফেনীনদী থেকে ভারতের পানি প্রত্যাহার সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দুদেশের যৌথ নদী কমিশন এ ইস্যূ নিয়ে কাজ করছে। হয়তো সহসায় এ সমস্যারও সমাধান হবে।
এদিকে, মৈত্রী সেতু পরিদর্শনকালে সেতুর শূণ্যরেখায় বিএসএফের উদয়পুর সেক্টরের ডিআইজি শ্রী শেখর গুপ্ত বিজিবি মহাপরিচালকের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। তাঁরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এসময় দুই বাহিনীর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারষ্পরিক সৌহার্দ বৃদ্ধিতে উভয় পক্ষ গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে বিজিবি মহা পরিচালক রামগড় ৪৩ ব্যাটালিয়ন সদর, বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভসহ বিভিন্ন ক্যাম্প পরিদর্শন করেন এবং বিজিবি সদস্যদের সাথে কুশল বিনিময় ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষন), চট্টগ্রাম রিজিয়নের ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার, রামগড়স্থ ৪৩ ব্যাটালিয়ন কমান্ডারসহ বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

Loading