পটিয়ায় প্রবাসীর বাউন্ডারী দেয়াল ভাঙ্গচুর

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ , মার্চ ২৭, ২০২৩

চট্টগ্রামের পটিয়ায় প্রবাসীর জায়গার বাউন্ডারী রাতের আধাঁরে গুরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ । মধ্যরাতে পটিয়া পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ডের আলম শাহ সড়কের বৈলতলী রোড সংলগ্ন প্রবাসী মো. মুছার স্ত্রী ফারজানা আক্তারের কেনা জায়গায় এ ভাঙ্গচুর করা হয়। ভাঙ্গচুর সময়ে জিম্মি থাকা ফারজানা আক্তার ও তার স্বজনদের রক্ষা করে পটিয়া থানা পুলিশের একদল সদস্যরা। এঘটনায় ফারজানা আক্তার বাদী হয়ে ১৩ জনকে প্রধান আসামী করে অজ্ঞাত আরো ১ থেকে ২শ জনের বিরুদ্ধে পটিয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এ বিষয়ে প্রবাসী মো. মুছার স্ত্রী ফারজানা আক্তার জানান, ২০১৯ সালে ৭.৭৯ শতাংশ আমার কেনা জায়গায় সরকারী বিধি বিধান মেনে পটিয়া পৌরসভার নকশা অনুমোদন করে কাজ করতে গেলে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যূরা আমার কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি এই চাঁদা দিতে অপরাগতা স্বীকার করলে তারা আমাকে বিভিন্ন সময় হুমকি, দুমকি সহ আমাকে প্রাণনাশের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় পার্শ্ববর্তী আব্দুছ ছাত্তার জামে মসজিদের মাদ্রাসা নির্মাণের কথা বলে জায়গা দখলের পায়তারা ও আমাকে মামলা মোকাদ্দামা দিয়ে হয়রানী করে। তারা উদ্দেশ্য হাছিলের জন্য আদালতে গেলেও আদালত সব কাগজ পত্র দেখে আমার পক্ষে আদালত রায় দেন। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসী দল বল নিয়ে, আমাদেরকে অস্ত্র উচিয়ে, ককটেল বিষ্ফোরণ করে ভয়ানক পরিস্থিতি তৈরি করে আমার বাউন্ডারী দেওয়াল ভেঙ্গে গুরিয়ে দিয়েছে। এই ঘটনার বিষয়ে পটিয়া পুলিশ অবগত থাকলেও আমি স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি বারবার অবহিত করার পরও আমি এর কোন সুরহা পায়নি। তাই আমি স্থানীয় হুইপ সহ উর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, উল্লেখিত বিষয়টি নিয়ে আমরা দুই পক্ষকে শান্ত থাকার জন্য বলেছি। ভাঙ্গচুরের ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Loading