ছেলের গলাকাটা লাশের অপেক্ষায় স্বজনদের আহাজারী

প্রকাশিত: ১২:৩৯ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৫, ২০২৩

সদ্য প্রাণবন্ত খেলাধুলা প্রেমী ছেলের গলাকাটা মরদেহ দেখার জন্য মেধাবী স্কুলছাত্র মিরাজের (১৪) বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। বুধবার সকাল ১১টায় নিহত ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তার মা মেহেরনাগার আহাজারি করছেন। আর তার সহপাঠি ও প্রতিবেশীদের মাঝে চলছে শোকের মাতম। পুরো গ্রামটাই যেন কান্নায় ভারি হয়ে পড়েছে।

এর আগে চিরিরবন্দর উপজেলার আলোকডিহি গ্রামে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ওই এলাকার রাস্তা দিয়ে বাজারগামী কয়েকজন পথচারী তার গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায়। তাৎক্ষণিক বিষয়টি চিরিরবন্দর থানাকে অবহিত করলে পুলিশ রাত সাড়ে ১১টার দিকে এসে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বুধবার সকালে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে প্ররণ করে।

নিহতের মা মেহেরনাগার আহাজারি করে বলেন, রাত ৮ টার দিকে মিরাজ বাজার করতে রাণীরবন্দর বাজার যায়। পরে রাত ১০টা পার হয়ে গেলেও সে বাড়ি ফিরে না আসায় তাকে অনেক খোঁজাখুজি করি। পরে লোক মারফত জানতে পারি এক কিশোরের গলাকাটা মরদেহ রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে। দ্রুত ছুটে গিয়ে দেখি যে এটাই আমাদের মিরাজের মরদেহ। পাশেই পড়ে ছিলো তার সাথে থাকা বাই-সাইকেলটি।

নিহত ছাত্রের খেলার সহপাঠি আইনুল হক বলেন, সে যেমন লেখাপড়ায় মেধাবী ছিল, তেমনি বিভিন্ন খেলাধুলা ভালো করতো। সে পালাপাড়া দ্বি- মূখী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীতে পড়াশুনা করতো। মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগে তাকে বাড়িতে খেলা করতে দেখা যায়। কিন্তু রাত ৮টার পর সে বাজারে গিয়ে আর ফিরে আসেনি।

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বজলুর রশিদ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে স্থানীয়রা গলাকাটা এক কিশোরের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিশোর মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে বুধবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে প্ররণ করা হয়। জড়িতদের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এই হত্যা কান্ডের ঘটনায় পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালনা রাত থেকেই শুরু হয়েছে । তদন্ত চলছে খুব শীঘ্রই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

Loading