আশুলিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর সংঘর্ষ, ৪ পুলিশসহ আহত ১০

প্রকাশিত: ১১:৫৭ অপরাহ্ণ , মার্চ ১৩, ২০২৩

রাজধানীর উপকণ্ঠ আশুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের সাথে লেগুনা ড্রাইভার ও স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় লেগুনাসহ শতাধিক দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় সড়কেও আগুন জ্বালিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও সড়কে নেমে আসেন।
সোমবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আশুলিয়ার খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাত ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ক্যাম্পাসে ফিরে গেছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আশুলিয়া-চারাবাগ-বিরুলিয়া সড়কের চারাবাগ চৌরাস্তা লেগুনা স্ট্যান্ড এলাকায় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি লেগুনার সঙ্গে ড্যাফোডিলের এক শিক্ষার্থীর মোটরসাইকেলে ধাক্কা লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাগ্‌বিতণ্ডার সুত্রপাতে লেগুনা ড্রাইভারদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধলে স্থানীয় কয়েকজন থামাতে আসলে তাদের একজনের মাথা ফাটিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা, এতে স্থানীয়রা আরো সংঘবদ্ধ হচ্ছে দেখে চারাবাগ ত্যাগ করে চলে যায় তাঁরা পরে বেশ কিছু শিক্ষার্থী এক জোট হয়ে চারাবাগ স্ট্যান্ডে এসে হামলা চালান এবং লেগুনা ভাঙচুর করেন। তখন লেগুনা শ্রমিক ও স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে তাঁরা ক্যাম্পাসে ফিরে যান। এর ঘণ্টা খানিক পরে রাতে পুনরায় প্রায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থী সড়কে নেমে এসে বিক্ষোভ শুরু করে ও দোকানপাটে ভাঙচুর চালান । বেশকিছু দোকানের বৈদ্যুতিক মিটারও ভেঙে দেন এবং সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর সহ সিসি ক্যামেরা গুলো খুলো নিয়ে যান, শিক্ষার্থীদের তান্ডবে আতংকিত হয়ে উঠে এলাকাবাসী ও হাটবাজারর দোকানিরা । পরে পুলিশের ধাওয়ায় ক্যাম্পাসে ফিরে যান শিক্ষার্থীরা।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাচিব সিকদার বলেন, লেগুনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সড়কে নেমে এসে ভাঙচুর চালায়।

আশুলিয়া থানার এসআই শাহীন আহমেদ নয়ন বলেন, শিক্ষার্থীরা ৯টার দিকে পুনরায় রাস্তায় নেমে আসে। আমরা স্থানীয় জনগণকে সরিয়ে রাখতে পেরেছিলাম আগেই। না হলে বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে যেত। শিক্ষার্থীরা ড্যাফোডিল ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে ভাঙচুর চালাতে চালাতে চারাবাগ স্ট্যান্ডের দিকে আগাতে থাকে। এ হামলা চালানোর সময় পুলিশের মুখোমুখি হলে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়ে। তখন পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশের বাধার মুখে শিক্ষার্থীরা পুনরায় ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। ড্যাফোডিল ক্যাম্পাসের সামনেসহ আশপাশে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন আছে। ড্যাফোডিলের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরাও যোগ দিয়েছিল।’

এ ব্যাপারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা আনোয়ার হাবিব কাজল বলেন, লেগুনার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলের ধাক্কার ঘটনায় কিছুটা উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

Loading