খোলা আকাশের নিচে ১২ হাজার রোহিঙ্গা

প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ , মার্চ ৬, ২০২৩

কক্সবাজারের উখিয়া বালুখালীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২ হাজার বাড়ি ঘর পুড়ে গেছে। আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে ১২ হাজার রোহিঙ্গা। বর্তমানে তাদের অনেকেই খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কক্সবাজারের শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাশন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ক্যাম্পের অগ্নিকাণ্ডে দুই হাজার শেল্টার সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়েছে। এতে ১২ হাজার রোহিঙ্গা ঘর বাড়ি হারিয়েছে। সোমবার সকাল থেকে তাদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী ঘর তৈরি করবে।

তিনি জানান, জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা ডব্লিউএফপি রোহিঙ্গাদের জরুরি খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হচ্ছে। পরে ক্ষতিগ্রস্ত রোহিঙ্গাদের স্হায়ী শেল্টার করে দেওয়া হবে।

তবে অগ্নিকান্ডে নিখোঁজ কিংবা হতাহতের কোন ঘটনা নেই।

শরনার্থী কমিশনার আরও জানান, ক্যাম্পে সংঘটিত অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসন ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে এই কমিটিতে শরনার্থী কমিশন, এপিবিএন পুলিশ জেলা পুলিশ ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি থাকবে।

অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ছাড়াও কোন নাশকতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেবে তদন্ত কমিটি।

আইওএম’র কমিউনিকেশন অফিসার তারেক মাহমুদ জানিয়েছেন, আজ সোমবার সকাল থেকে আশ্রয়হীন রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী তাঁবু দিয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ ছাড়া ৫টি মেডিকেল টিম রোহিঙ্গাদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণের কাজও চলছে বলে জানান তিনি।

উখিয়া বালুখালী ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোববার বিকালে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে ক্যাম্পের একটি বাড়ির রান্নাঘরের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত। সেই আগুন দ্রুত পার্শ্ববর্তী ৯ এবং ১০ নম্বর ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে।

তিন ঘন্টা চেষ্টার পর সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট।

Loading