আব্দুল জলিলের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ণ , মার্চ ৬, ২০২৩

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সফল বাণিজ্যমন্ত্রী আব্দুল জলিলের আজ দশম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে পারিবারিকভাবে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

২০১৩ সালে ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।

কর্মসূচির মধ্যে আজ সোমবার সকালে মরহুমের গ্রামের বাড়ি চকপ্রাণ মহল্লায় তাঁর কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন ,কোরানখানি, মিলাদ মাহফিল ও মরহুমের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে, নওগাঁ শহরের নওযোয়ান মাঠে আয়োজিত স্মরণসভা স্থগিত করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয় দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। তবে পরবর্তিতে এই কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়।

মরহুম আব্দুল জলিলের ছেলে নওগাঁ সদর আসনের এমপি ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল জন বলেন, “আমার পিতা আব্দুল জলিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আজীবন রাজনীতি করে গেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এবং দলের জন্য নিবিড়ভাবে কাজ করেছেন। স্বৈরাচারীদের বহু প্রলোভন, জুলুম, ভয়ভীতি উপেক্ষা করে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় জেলায় জেলায় গিয়ে দলকে সুসংঘটিত করেছেন।
নওগাঁর উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে নিজাম উদ্দিন জলিল বলেন, “তিনি ছিলেন
আধুনিক নওগাঁর রূপকার। জেলার সকল উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে তাঁর অবদান রয়েছে। শুধু তাই নয় জাতীয় পর্যায়ে তিনি অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। এলাকাবাসীর কল্যাণ ও উন্নয়নে সদা-সর্বদাই স্বচেষ্ট ছিলেন। তিনি ছিলেন নওগাঁর গণমানুষের নেতা।

এদিকে, নওগাঁ নিয়ে মরহুম জননেতা আব্দুল জলিলের যেসব স্বপ্ন অপূরণীয় আছে, আগামীতে তার পুত্র ব্যারিস্টার নিজাম উদ্দিন জলিল এমপি তা বাস্তবায়ন করবেন এমনই আশাবাদ নওগাঁবাসীর।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক বিভাষ কুমার মজুমদার গোপাল বলেন, মরহুম আব্দুল জলিলের ১০ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলীয়ভাবে নানা কর্মসূচির পাশাপাশি শহরের নওযোয়ান মাঠে বিশাল স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। ওই স্মরণ সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনসহ দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

তিনি বলেন, কর্মসূচি পালনে প্রস্তুতিও ছিল শেষ পর্যায়ে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল মালেক ও সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ র্শীষ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা অসুস্থ্য হয়ে পড়ায় স্মরণসভা আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তিতে স্মরণসভার কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান বিভাষ কুমার মজুমদার গোপাল।

মরহুম আবদুল জলিল ১৯৩৯ সালের ২১ জানুয়ারি নওগাঁর সদর উপজেলার চকপ্রাণ মহল্লায় এক সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নওগাঁ কেডি সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, ১৯৬০ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৬৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ নম্বর সেক্টরের মুখ্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন আবদুল জলিল। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নওগাঁ সদর আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

আবদুল জলিল পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য, ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।

সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন।

Loading