পটিয়া পৌরসভার বর্জ্য চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ভোগ জনজীবনে

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১:৫১ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ১৩, ২০২৩

চট্টগ্রামের পটিয়া পৌরসভার বর্জ্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পটিয়া বিসিক শিল্প নগরী এলাকায় যত্রতত্র ফেলার কারণে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ। বর্জ্য ব্যস্থাপনা প্লান্ট বা ডাম্পিংয়ের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় মহাসড়কের পাশে বর্জ্য ফেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়াতে চারিদিকে আগুনের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়।
মেডিকেল বর্জ্য থেকে শুরু করে গৃহস্থালি সবধরনের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে মহা সড়কের দু’পাশে। দীর্ঘদিন ধরে পড়ে থাকা বর্জ্যে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সড়কে চলাচলরত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাএ-ছাএী ও জন সাধারণ। বিষিয়ে উঠেছে পৌর এলাকার নির্মল পরিবেশ। কালো ধোঁয়ায় ভারী হয়ে উঠেছে মুক্ত বাতাস। দুই যুগের বেশি সময় ধরে বাসাবাড়ি হোটেল রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ক্ষতিকর সব বর্জ্য ও আবর্জনা মহাসড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধরে এসব ক্ষতিকর বর্জ্য ফেলায় পৌরবাসীসহ চলাচলরত সাধারণ মানুষ দুর্গন্ধে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এছাড়াও বর্জ্যের ধোয়ায় বিদ্যুতের তার নষ্ট হয়ে গিয়ে শর্ট সার্কিট হয়ে আগুন লেগে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বর্জ্যে দেওয়া আগুন থেকে পার্শ্ববর্তী ১০টি দোকান পুড়ে যায়।

সূএে জানা য়ায়, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল ১০.৬৬ বর্গকিলোমিটার আয়তন নিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় সর্বপ্রথম গড়ে ওঠে পটিয়া পৌরসভা। ২০১১ সালে আদমশুমারিমতে এ পৌরসভায় লোকসংখ্যা ছিল ৫৫ হাজার ৩২৩ জন, যা এখন আরো বহু গুণে বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এটি ‘ক’ শ্রেণির পৌরসভা । আধুনিক পৌরসভা হলে ও ময়লা বর্জ্য অব্যবস্থাপনায় অতিষ্ট স্হানীয়রা।

বিসিক শিল্প নগরীর বিপরীত পাশে স্থানীয় দোকান মালিক মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার ময়লায় লাগানো বর্জ্যের আগুনে পুড়ে গেছে আমার দশটি দোকান। ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪ লক্ষ টাকা।
আগুন লাগার ঘটনা পটিয়া পৌরসভায় অবহিত করলে কোন প্রতিক্রিয়া নেই।পটিয়া পৌরসভা কর্তপক্ষের।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল আমার বার্তাকে বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য পৌরসভা কতৃক একটি ডাম্পিং স্টেশন করা হবে। আশা করি পৌরবাসী খুব শীগ্রই উল্লেখিত সমস্যা থেকে পরিত্রান পাবে। ডাম্পিং স্টেশনের অনুমোদনের জন্য সচিবালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছি।

Loading