বেনাপোলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিজিবি-বিএসএফের রিট্রিট সেরিমনি পরিদর্শন

প্রকাশিত: ৩:০৫ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ৫, ২০২৩

বেনাপোল চেকপোস্টের নোম্যান্সল্যান্ডে বিজিবি ও বিএসএফের রিট্রিট সেরিমনি পরিদর্শন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল এমপি।

শনিবার (৪ মার্চ) বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ডে বিজিবি ও বিএসএফের রিট্রিট সেরিমনি উপভোগ করেন আগত অতিথিবৃন্দ ও দুই বাংলার দর্শকরা। বিজিবি এবং বিএসএফ প্রতিদিন বিকেলে নোম্যান্সল্যান্ডে একই সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতের জাতীয় সঙ্গীত বাজিয়ে জাতীয় পতাকা নামানোর সময় প্যারেড প্রদর্শন করে থাকেন।

এসময় বিজিবি-বিএসএফের কর্মকর্তারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা সহ গার্ড অব অনার ও ক্রেষ্ট প্রদান করেন।

রিট্রিট সেরিমনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাস্ট্র মন্ত্রনালযের সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেনজির আহম্মেদ এমপি, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্রাচার্য্য এমপি, স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন, যশোর-২ আসনের এমপি নাসির উদ্দীন, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান, সুরক্ষা বিভাগের সচিব আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চোধুরী, বিজিবি’র মহা পরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ নুরুল আনোয়ার, যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দ্দার,যশোর-২ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম,শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পালসহ বিএসএফ ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ।

পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চেকপোস্ট আইসিপি ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। সেখানে বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে পরিদর্শন খাতায় স্বাক্ষর করেন।

বিজিবি সুত্রে জানা যায়,দেশের সীমান্তে বসবাসরত মানুষ ও সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বন্ধুত্ব ও পারস্পরিক সৌহার্দ্য সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে ২০১৩ সালের ৬ নভেম্বর ‘রিট্রিট সেরিমনি’ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তৎকালিন বাংলাদেশের স্বরাস্ট্রমন্ত্রী ড.মহিউদ্দিন খান আলমগীর ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দি।

প্রতিদিন বিজিবি ও বিএসএফ সদস্যরা সেখানে আনুষ্ঠানিক কুচকাওয়াজ করে। কুচকাওয়াজের মধ্য দিয়ে একই সঙ্গে দুই দেশের জাতীয় পতাকা উঠানো ও বিগিউলে দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। প্রতিদিন বিকেল ৫টায় শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। মোট ৩০ মিনিটের অনুষ্ঠানের মধ্যে ১৮ মিনিট সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাকি সময় কুচকাওয়াজের পাশাপাশি দুই দেশের যৌথ সাংস্কৃতিক মঞ্চে বেজে ওঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নজরুলগীতি এবং দেশের গান।

Loading