৫ অভয়াশ্রমে জাল ফেললেই দু’বছরের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: ১১:২৭ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ১, ২০২৩

ইলিশ উৎপাদন বাড়াতে ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে আজ (১ মার্চ) থেকে দুই মাস জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এসময়ে বেকার হয়ে যাওয়া জেলেদের প্রণোদনা দেয়াসহ নানা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মৎস্য বিভাগ।

মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশের প্রজনন মওসুম। এই সময়ে জেলেদের জালে সবচেয়ে বেশি জাটকা ধরা পড়ে। উৎপাদন বাড়াতে প্রতিবছর ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।

চাঁদপুরে জাটকার চারটি বিচরণ কেন্দ্র সদর, হাইমচর, মতলব উত্তর ও দক্ষিণ। জেলেরা বলছে, এনজিও থেকে নেওয়া ঋণের কিস্তি বন্ধ রাখা এবং সরকারি সহায়তা না বাড়ালে কর্মসূচি সফল করা সহজ নয়।

ভোলার ভেদুরিয়া থেকে পটুয়াখালীর চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১শ’ কিলোমিটার এবং ইলিশা থেকে মনপুরার চরপিয়াল পর্যন্ত মেঘনার ৯০ কিলোমিটার নিষেধাজ্ঞার আওতায়। নিষেধাজ্ঞা চলার সময়ে বেকার জেলেদের দেওয়া হবে সহায়তা।

জেলেরা জানান, চাল আসে ১ মণ দেয় ১৫ কেজি। তিনটি সমিতি চালাতে হয়, এখন এই দুই মাস কিভাবে চলবো এটা নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন আছি।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্লাহ বলেন, “এই দুই মাস এনজিওর কিস্তিটা বন্ধ রাখা যায় এবং কিস্তি বন্ধ রাখতে পারলে জেলেরা এর সুফলটা পাবেন।”

বরিশালের কালাবদর, গজারিয়া, মেঘনা, হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও সদর উপজেলার ৮২ কিলোমিটার এলাকা ইলিশের অভয়াশ্রম। নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন প্রনোদনার চালের সঙ্গে মাসিক ভাতার দাবি জেলেদের।

জেলেরা বলেন, “দুই মাস অবরোধের মধ্যে ১০ হাজার টাকা দিলে আমরা পরিবার নিয়ে মোটামুটিভাবে চলে যেতে পারি।”

লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীর চাঁদপুর থেকে আলেকজান্ডার পর্যন্ত ৬০ কিলোমিটার এলাকা অভয়াশ্রম। এ অঞ্চলে ৫০ হাজারের বেশি জেলে রয়েছে। সরকারি সহায়তা আরও বাড়ানোর দাবি তাদের।

নিষেধাজ্ঞা চলার সময় কেউ নদীতে জাল ফেললে এক থেকে দু’বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার বিধান রয়েছে।

Loading