পটিয়ায় বিরোধীয় জায়গা নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন

এস.এম.এ জুয়েল এস.এম.এ জুয়েল

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ , মার্চ ১, ২০২৩

চটগ্রামের পটিয়া উপজেলার পোস্ট অফিস মোড়স্থ জায়গা নিয়ে মৃত ডাঃ কামাল উদ্দিনের মেয়ে ও তার চাচাতো ভাইদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গতকাল মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গুলশান মেহেরিনের  পরিচালক উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী ও মৃত ডা: কামাল উদ্দিন চাচাতো ভাইয়ের পুত্ররা এবং মৃত ডা: কামাল উদ্দিনের মেয়ে ডা: সৈয়দা কানিজ ফাতেমা পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলনে করেন।
মুস্তফা কামালের উওরাধীকারী সূএে যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী ও অপর শরীকগণ গুলশান মেহরিন রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে তারা অভিযোগ করেন যে পটিয়া পৌরসভা ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দার ডা: কামাল উদ্দিন চৌধুরী মৃত্যু’র পূর্বে তার একমাত্র সন্তান মুস্তাফা কামালের নামে যাবতীয় সম্পত্তি দানপত্র করে দেন। পরবর্তীতে মুস্তাফা কামাল অবিবাহিত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করিলে তার একমাত্র বোন কানিজ ফাতেমা ও ১২ চাচাতো ভাইসহ ওয়ারিশ হয়।ডা: কামাল উদ্দিন চৌধুরী জীবিত থাকা অবস্থায় উপজেলা যুবলীগ আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী’র প্রায় ১৯ শতক জায়গায় তিন তলা বিশিষ্ট দোকান ও ভাড়া ঘর নির্মান করেন। দীর্ঘদিন উপজেলা যুবলীগ নেতা হাসান উল্লাহ চৌধুরী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। হাসান উল্লাহ প্রতি মাসে দোকান ও বাসাভাড়া বাবদ ইসলামিক ফরায়েজ মোতাবেক ভাড়া টাকা কানিজ ফাতেমার ব্যাংক একাউন্টে ৭০ হাজার টাকা বাকী ৭০ হাজার টাকা ১২ চাচাতো ভাই ওয়ারিশগনের নিকট প্রদান করে আসছে। পরবর্তীতে কানিজ ফাতেমা ক্যান্সরের আক্রান্ত হওয়ায় তার ভাগের জায়গা বিক্রি প্রস্তাব দিলে যুবলীগ নেতা হাসান উল্লাহ ক্রয় করার সম্মতি জানান। উভয় পক্ষে’র মধ্যে কানিজ ফাতেমার অংশের জায়গার মোট ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা বিক্রি করার বিষয়টি চুড়ান্ত হয়।

  • উক্ত জায়গা ক্রয় করার জন্য হাসান উল্লাহ
    ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি টাকার পে-অর্ডার করে কানিজ ফাতেমাকে জায়গা রেজিষ্ট্রে করার জন্য অবহিত করলে সে রেজিষ্ট্রে না দেওয়ার বিভিন্ন অজুহাত দেখায় এবং কানিজ ফাতেমা আবছার উদ্দিন নামের এক ভূমিদস্যু কে উক্ত জায়গা বাবদ ৫০ লক্ষ টাকা প্রদানের দাবি করেন। পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে হাসান উল্লাহ চৌধুরী কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে পটিয়া সিনিয়র সহকারি জজ আদালতে একটি মামলা ২৭/২০২৩ দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত কানিজ ফাতেমাকে ১৫ দিনের কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করেন। তারা চান তাদের ভাই বোনের মধ্যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। জায়গা বিক্রি বিষয়ে উভয় পক্ষে যে আলাপ আলোচনা হয়েছে সে অনুয়ায়ী বোন কানিজ ফাতেমার কাছ থেকে জায়গা খরিদ করবেন। একটি ভূমিদস্যু চক্র তাদের বোন কানিজ ফাতেমাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে। এ বিষয় প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।এ সময় উপস্থিত ছিলেন গুলশান মেরেরীণের পরিচালক উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ চৌধুরী, জাগির হোসেন, হাবিবুল্লাহ প্রকাশ বুলবুল, ইউসুফ চৌধুরী, মাহাবুবুল আলম, রায়হান উদ্দিন।

    অপরদিকে, থানার মোড়স্থ নোঙ্গর রেস্তোরায় ডাক্তার সৈয়দা কানিজ ফাতেমা পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে লিখিত বক্তব্যে বলেন ডা: সৈয়দা কানিজ ফাতেমা দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।ক্যান্সার রোগের চিকিৎসা করতে জায়গা বিক্রি করতে গেলে বিপত্তি হয়। ডাক্তার কামালের কোন ছেলে না থাকায় তার সম্পত্তি ডাক্তার কানিজ ফাতেমা মালিক হয়। পটিয়া পৌরসভার পোস্ট অফিস মোড় এলাকায় গুলশান মেহেরিন নামে তাদের একটি হোটেল রয়েছে। এটি উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ ভাড়ায় নিয়ে পরিচালনা করেন। গত কয়েক মাস ধরে হাসান উল্লাহ ভাড়াও বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি কানিজ ফাতেমার নামে এ সম্পত্তি নামজারীও হয়েছে। যুবলীগ নেতা হাসান উল্লাহ এ নামজারী বাতিল করতে বিভিন্ন পায়তারা করছে বলে অভিযোগে জানান। এছাড়া ও কানিজ ফাতেমার জায়গাটি অর্ধেক দামে খরিদ করতে উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক হাসান উল্লাহ কানিজ ফাতেমাকে বিভিন্ন চাপ প্রয়োগ করে এবং এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন বলে অভিযোগ করেন।
    এসময় উপস্থিত ছিলেন ডাঃ কানিজ ফাতেমার স্বামী ডাক্তার শরীফুল হক, আবছার উদ্দিন, যুবলীগ নেতা আবু ছালেহ মো. শাহরিয়ার।

Loading