মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় চালকসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরও দুইজন। এদিকে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে এক তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।

শ্রীমঙ্গল সাঁতগাও হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: রাকিব জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে শহরতলীর ঢাকা-মৌলভীবাজার সড়কের জিলাতপুর এলাকায় ঘন কুয়াশার মধ্যে শ্রীমঙ্গল অভিমুখী একটি সিএনজি অটো রিক্সাকে চাপা দেয় দ্রুতগামী একটি গাড়ি। এ সময় চালকসহ চারজন গুরুতর আহত হন।

আহতবস্থায় মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান শ্রীমঙ্গল ভুনবীরের মৃত রমজান আলীর ছেলে গাড়ি চালক আলী আকবর (৩৫)। একই সঙ্গে মৌলভীবাজার থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান একই এলাকার মৃত হারিছ উদ্দিনের ছেলে সিএনজি যাত্রী সালেহ উদ্দিন (৪০)।

নিহত সালেহ উদ্দিনের মামা চা ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, সকালের দিকে শ্রীমঙ্গলে খুবই কুয়াশা পড়ে। সকাল ৯টার দিকে েতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জমজম ফার্মেসীতে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীতগামী একটি গাড়ি তাদের সিএনজিকে চাপা দেয়। কুয়াশার কারণে চাপা দেয়া গাড়ি চেনা যায়নি। তবে অনেকে বলেছেন এ সময় একটি ট্রাক অতিক্রম করে।

শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানার ওসি সাফিউল ইসলাম জানান, শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনের অদূরে ঢাকাগামী আন্ত:নগর জয়ন্তিকা ট্রেনের নিচে ঝাপ দিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণী (২০) মারা গেছে।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, শনিবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটের সময় সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা আন্ত:নগর জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্র্রেন শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করছিল। এসময়ে ওই তরুণী চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাপ দেয়। ট্রেনটি তাকে টেনে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে নিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে মৃত উদ্ধার করা হয়।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রেললাইন হতে মরদেহ উদ্ধার করে শ্রীমঙ্গল জিআরপি থানাকে অবগত করে। এ সময় তরুণীর একটি ভ্যানেটি বেগ ও ভেঙ্গে যাওয়া ঘড়ি ও ভাঙ্গা মোবাইল পাওয়া গেছে।

শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে জিআরপি পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে।