অনলাইন-ইউটিউব

গুজবের বিষয়ে ডিসিদের সতর্ক থাকার নির্দেশ

প্রকাশিত: ৬:১৭ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ২৬, ২০২৩

জেলা পর্যায়ে অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপিটিভি, ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) তা দ্রুত তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে গুজবটি অমূলক প্রমাণ করে সত্য তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডিসিদের এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, জেলা প্রশাসক সম্মেলন সরকারের প্রশাসনের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এটি প্রতি বছর হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছরও হচ্ছে।

তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারের কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করা হয়। সাধারণ জনগণ জেলা প্রশাসকের কাছে তথ্য পায়। সরকার যে কার্যক্রমগুলো নেয়, জেলা প্রশাসকের মাধ্যমেই সেটি বাস্তবায়ন করা হয়। সে জন্য জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, জেলা পর্যায়ে অনেকগুলো অনলাইন পোর্টাল, আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেল আছে; যেগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। অনেকে এসবে কাজ করে নিজেদের সাংবাদিক বলে পরিচয় দেন। এসব মাধ্যমে অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়। অনেক সময় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয় এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। এসব রোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে আলোচনার সময় এ কথাটি উঠে এসেছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তাদের জানিয়েছি সর্বসাকুল্যে ১২টি আইপিটিভি আমরা নিবন্ধন দিয়েছি। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন। আমরা এ পর্যন্ত ১৭০টির বেশি অনলাইন পোর্টালকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। দৈনিক পত্রিকার অনলাইন হিসেবে আরও ১৭০টির বেশি রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টাল হিসেবে আরও ১৫ থেকে ১৬টি দেয়া হয়েছে। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন।’

তিনি বলেন, ‘সেগুলোর (অনিবন্ধিত অনলাইন ও আইপিটিভি) ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি, আপনারা যদি দেখেন কেউ বিভ্রান্তি কিংবা গুজব ছড়াচ্ছে, অসত্য ও ভুল তথ্য পরিবেশন করে সমাজে হানাহানি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, আবার অনেক সময় কারও বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সংবাদ পরিবেশন করে সেটিকে ভিন্ন কাজে আবার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে আমরা যাতে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারি সে জন্য আমাদের জানাতে বলেছি। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর তথ্যের বদলে যাতে সত্য তথ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশন করা হয়, সে বিষয়ে পরামর্শ তাদেরকে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকরা চাইলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারেন না। কারণ ব্যবস্থা নেয়ার একটি প্রক্রিয়া আছে। সেটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) জানাতে হয়। কিন্তু গুজব ছড়ায় কয়েক ঘণ্টায়, আর সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কয়েকদিন লেগে যায়। এক্ষেত্রে গুজব থেকে কিভাবে রক্ষা পাওয়া যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে কি-না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জেলা প্রশাসকদের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা ছিল। যে আইপিটিভিগুলো নিবন্ধিত তারা তা জানতে চেয়েছেন, আমরা তা জানিয়ে দিয়েছি। আর কোন্ অনলাইনগুলো নিবন্ধিত রয়েছে, আমরা তাদের সেগুলো জানিয়ে দেব।’

Loading