চূড়ান্তভাবে নিষিদ্ধ ‘সাকার ফিশ’

প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ , জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

সাকার মাছ নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয় থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর আগে গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় সাকার মাছ নিষিদ্ধ করতে প্রজ্ঞাপন জারি করে। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে স্বক্ষর করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মৃনাল কান্তি দে।

এতে প্রটেকশন অ্যান্ড কনজারভেশন অব ফিশ অ্যাক্ট-১৯৫০ এর ১৮ নম্বর ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়।

এ বিষয়ে কারও কোনো আপত্তি বা পরামর্শ থাকলে লিখিতভাবে অনধিক দুই মাসের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়কে জানাতে বলা হয়। এছাড়া অনধিক দুই মাসের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো আপত্তি বা পরামর্শ না পাওয়া গেলে, নিষেধাজ্ঞা চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে বলেও জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের ১১ জানুয়ারির প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুই মাস সময় এরইমধ্যে শেষ হয়েছে এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের ওপর পাওয়া মতামতের ভিত্তিতে সরকার এ রুলসের অধিকতর সংশোধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আইনের ১৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারা অনুযায়ী সাকার মাছ কোনো ব্যক্তি আমদানি, প্রজনন, চাষ, পরিবহন, বিক্রি, গ্রহণ বা প্রদান, বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ, প্রকাশ ও অধিকারী হতে পারবেন না।

দেশের এ মাছ মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে দীর্ঘদিন ধরে প্রচার চালিয়ে আসছে মৎস্য অধিদফতর। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সাকার মাছ আশির দশকে ব্রাজিল থেকে অননুমোদিতভাবে বাহারি মাছ হিসেবে প্রথম বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়েছে।

বর্তমানে সাকার মাছ নদী-নালা, খাল-বিল ও পুকুরে চাষ করা মাছের সঙ্গে ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে। যা জীববৈচিত্র্য তথা দেশিয় প্রজাতির মাছের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।

Loading