অতীতের কোনো সরকার শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেনি

প্রকাশিত: ১:০৫ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ৩১, ২০২২

অতীতের কোনো সরকার শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে নতুন বছরের পাঠ্যবই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা হচ্ছে জাতিকে দারিদ্রমুক্ত করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। অতীতের কোনো সরকার শিক্ষার জন্য তেমন কিছুই করেনি। আওয়ামী লীগ সরকার বাংলা গড়ার জন্য শিক্ষাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমাদের উদ্যোগ ছিল, দেশের মানুষকে দারিদ্রমুক্ত করা। আর সেক্ষেত্রে শিক্ষাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। পরে পুনরায় শিক্ষা কমিশন গঠন করি। পরবর্তীতে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারিনি, কেননা আমাদের সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর সবকিছু বাতিল করে নতুন করে দেশকে আবারও অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘৯৬ সালে এসে স্বাক্ষরতার হার ছিল ৪৫ শতাংশ। সেটাকে অল্প সময়ের মধ্যে ৬৫.৫ শতাংশ নিয়ে গেছি। যার জন্য আমরা আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেয়েছিলাম। ২০০৬ থেকে ২০০৮ আরেকটা অন্ধকার যুগ আমাদের জীবনে চলে আসে। পরে ২০০৮ সালে আমাদেরকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জনগণ জয়যুক্ত করে। ক্ষমতায় এসে আবারও চিন্তা করি কীভাবে মানুষকে শিক্ষিত করতে পারি। সেজন্য ২০১০ সাল থেকে বিনামূল্যে বই বিতরণ শুরু করি। এখন প্রতি বছরই বই উৎসব পালিত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রধান শিক্ষকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদায় নিয়ে গেছি। সহকারী শিক্ষকের বেতন একধাপ উপরে নিয়ে এসেছি। আগে বাচ্চাদের হাতে পুরাতন বই দেয়া হত। আমরা এখন নতুন বই দিচ্ছি। আমাদের বাচ্চারা নতুন বই পেয়েছে।

কেমন লাগছে প্রধানমন্ত্রীর এমন প্রশ্নে শিক্ষার্থীরা বলে, ভালো লাগছে।

বৈশ্বিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়ে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। বিশ্বের সবাই কষ্ট করছে, সেক্ষেত্রেও বাচ্চাদের বই তৈরির কথা ভুলে যায়নি সরকার। সব জায়গায় অর্থসাশ্রয়ের দিকে মনোযোগী হলেও এখানে হইনি।

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটিও করে দিয়েছি। আমরা জাহাজ বানাব, যুদ্ধ জাহাজ এবং প্লেনও বানাব। এগুলো তো আমাদের ছেলে-মেয়েদেরই করতে হবে। এজন্য তাদের সব ধরনের শিক্ষার পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। প্রযুক্তি জ্ঞানে স্মার্ট হবে আমাদের পুরো জনগোষ্ঠী। পারবে না আমাদের ছেলে-মেয়েরা? জবাবে শিক্ষার্থীরা বলে, পারব।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ও স্মার্ট বাংলাদেশের যোগ্য করে গড়ে তোলা হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে, যোগ করেন সরকারপ্রধান।

Loading