নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ দুরভিসন্ধিমূলক

প্রকাশিত: ৯:২৭ অপরাহ্ণ , ডিসেম্বর ৫, ২০২২

নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ করতে চাওয়া দুরভিসন্ধিমূলক বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী। তার মতে, নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ করতে চাওয়া দুরভিসন্ধিমূলক।

এসময় আগামী ১০ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যোনে জনসভা করতে না চাইলে বিএনপি টঙ্গীর তুরাগ তীরের ইজতেমা মাঠ বা পূর্বাচলে সমাবেশ করবে কি না, জানতে চান তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বিকল্প প্রস্তাব পেলে তারা ভাববে বলে তারা বলছে। বিকল্প তো আছে। …সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বিকল্প হতে পারে পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার মাঠ বা টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার মাঠ হতে পারে।

তিনি বলেন, জনসভা তো হয় ময়দানে, ব্যস্ত রাস্তায় হয় না। গাড়ি ঘোড়া বন্ধ করে মানুষকে আতঙ্কে রেখে জনসভা করা কি কোনো দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের কাজ?

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের জনসভায় একটু ভোগান্তি হলেই তো কয়েকটি পত্রিকা লিখে যে জনসভায় মানুষ হয়েছে কিন্তু ভোগান্তি হয়েছে। সেই পত্রিকাগুলো তো রাস্তায় জনসভা নিয়ে কিছু লিখতে দেখছি না। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় জনসভা ইতিহাসে হয়েছে। তাদের এটা পছন্দ নয়।

বিএনপির সড়কে সমাবেশ করার ইচ্ছার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, তাদের শুধু রাস্তাঘাট পছন্দ। এটি কেন পছন্দ? এটি পছন্দ এ কারণে যে, এখানে গাড়ি ঘোড়া ভাঙচুর করা যাবে। ২০১৩-১৪ সালের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়া যাবে। সেটির জন্য এটি পছন্দ। মাঠের বিকল্প মাঠ হতে পারে, এর বিকল্প তো রাস্তা হতে পারে না। এটি দুরভিসন্ধিমূলক।

বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার ১ ডিসেম্বর থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিজয় দিবস এবং একই সঙ্গে নিউ ইয়ার উপলক্ষে প্রতিবছরই অভিযান পরিচালনা করে। এটা নতুন কিছু নয়।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির মধ্যে আছে আগুন সন্ত্রাসীরা। ২০১৩ সালে যারা আগুন সন্ত্রাস চালিয়েছিল, মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছিল। তারা তো বিএনপির নেতাকর্মী। তাদের কাউকে যদি গ্রেপ্তার করা হয় সেটা তো আইনগত বিষয়।

Loading