মিছিল নিয়ে জনসভায় আসছেন নেতাকর্মীরা

প্রকাশিত: ১১:৩২ পূর্বাহ্ণ , ডিসেম্বর ৪, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রাম জুড়ে এখন উৎসবের আমেজ। প্রায় ১১ বছর পর রোববার বিকেলে নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে দলীয় জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সকাল থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে জড়ো হচ্ছেন। এই জনসভা থেকেই ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দুপুরের আগেই তারা জনসভাস্থলে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন নেতারা। এদিকে, সমাবেশে যোগ দিতে সাগর পাড়ি দিয়ে সন্দ্বীপ থেকে প্রায় আট হাজার কর্মী এরই মধ্যে চট্টগ্রাম পৌঁছেছেন।

জনসভায় যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। বেলা ৩টার দিকে সভাস্থলে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি উপস্থিত থাকবেন।

এই জনসভাকে ঘিরে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে প্রচার চলছে। নগরের অলিগলি রাজপথ ছেয়ে গেছে পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী যেসব সড়ক ব্যবহার করে জনসভায় যাওয়া-আসা করবেন, সেসব সড়কে ব্যানার-পোস্টার লাগানোর জায়গা নেই। ইতোমধ্যে নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে জনসভার দৃষ্টিনন্দন মঞ্চ। ৩ হাজার ৫২০ বর্গফুটের এই মঞ্চে কমবেশি ২০০ মানুষ বসতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম শহরজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। নিরাপত্তা রক্ষায় র‌্যাবের পাশাপাশি থাকছেন সাড়ে সাত হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। জনসভা ঘিরেও ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ আগে থেকে জনসভাস্থলসহ সম্ভাব্য সব স্থানের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ ছাড়া নিরাপত্তার দায়িত্বে কেবল মাঠ ও আশপাশের এলাকায় সাত হাজারের বেশি পুলিশ থাকছে।

জনসভা মাঠ ও আশপাশের এলাকায় ৩০০ মাইক বসানো হয়েছে। সভাস্থলের দুই থেকে তিন কিলোমিটার দূরে পর্যন্ত জনসভার মাইকের শব্দ পাওয়া যাবে। মাঠে থাকবে ৩০ পেয়ার সাউন্ড সিস্টেম। নগরের দেওয়ানহাট, সিআরবি, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম, কদমতলী, স্টেশন রোডসহ আশপাশের এলাকায় এই মাইকগুলো লাগানো হয়।

Loading