নোয়াখালী হাতিয়া শেষ মুহূর্তে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।

আদনান সুবুজ আদনান সুবুজ

সিনিয়র ষ্টাফ রিপোর্টর

প্রকাশিত: ৪:৩৫ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২২

নোয়াখালী বিচিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া ভরা মৌসুমে মেঘনা নদীতে ইলিশ শূন্য ছিল। তবে মৌসুমের শেষে দিকে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।এসব ইলিশের সাইজ প্রায় আড়াই থেকে তিন কেজি। ফলে ঘাট এলাকায় ফিরে এসেছে উৎসবের আমেজ। পাইকার, আড়তদার ও জেলেদের হাঁকডাকে এখন মুখরিতহাতিয়া চেয়ারম্যানের ঘাটের ইলিশ মাছ গুলি।

সরেজমিনে হাতিয়া চেয়ারম্যান ঘাট ,স্টিমারঘাট ,হন্নি ও চানন্দি ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী ঘাট ঘুরে দেখা যায়,নদীতে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ ধরা পড়ায় পাল্টে গেছে জেলেদের পল্লীর চিত্র। দিন-রাত এক করে ছোট ছোট ট্রলার গুলো ছুটছেন নদীতে আর বড় বড় ট্রলার গুলো ছুটছেন সাগরের দিকে। তবে স্থানীয় জেলেদের দাবি মেঘনা নদীতে মাছ নেই কিন্তুু সাগরে পাওয়া যাচ্ছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ মাছ।

চানন্দি চরের মাঝি মোবারক মিয়া জানায় , আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে আগামী ৭অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা ও বিক্রি নিষিদ্ধ থাকবে।  ইলিশের ভরা প্রজনন ও ডিমছাড়ার সময়ের আগেই এবার ডিম ছাড়তে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মেঘনার এসব অঞ্চলে উঠে আসছে। আর এতেইঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে।

সুখ-চরের মাঝি কামাল মিয়া জানায়, প্রথম দিকে নদীতে মাছ ছিল না।আমাদের ভৌ-পোলাপাইন ও সংসারের চিন্তার কপালে ভাঁজ ছিল। খুবই দুঃসহ সময় কেটেছে। নদীতে মাছ পাওয়া ধার-দেনা পরিশোধ করতে পেরে আমরা অন খুশি।

মাছ ব্যবসায়ী হাসেম মহাজন জানান, গত দুদিন ধরে কিছু মাছ পড়তে শুরু করেছে। তবে ডুবোচরের চেয়ে গভীরপানিতে এসব মাছ ধরা পড়ছে বেশি। এতে সাধারণ জেলেরা লাভবান হচ্ছেন। আমরাও সময়মতো মোকামে মাছদিতে পারছি, ব্যবসা ভালো হচ্ছে। তিনি আরও জানায়, সরকার মা ইলিশ রক্ষায় যে সময় অভিযান দেয় তা থেকে আরও ১০ দিন পিছিয়ে দিলে প্রান্তিক জেলে ও আড়তদাররা পেছনের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবে।এদিকে গত দুদিনধরে ঝাঁকের ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করায় সাধারণ জেলেরা লোকশন পুষিয়ে নিতে দিনরাত মেঘনায় জাল ফেলছেন।

মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইলিশ রক্ষায় আশ্বিনী পূর্ণিমার সময় প্রধান প্রজনন মৌসুম হিসেবে বিবেচনা করে ,আগামী ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন এ অঞ্চলের ইলিশ চ্যানেলে মাছ ধরা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর পর ১ নভেম্বর থেকে ৬ মাসের জন্য ঝাটকা ধরা আইন বলবৎ থাকবে।

এসব আইনের জন্য বলা যায়, বর্তমান সময়ই হচ্ছে ইলিশ মৌসুমের শেষ সময়। ফলে আগামী কয়েকদিন দিনবিনাবাধায় মেঘনায় জেলেরা জাল ফেলতে পারবেন। আর এ সময়ে সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠে আসায় ওইসব ইলিশ জেলেদের জালে ধরা পড়ছে। মাছ ধরার বাধা না থাকায় জেলেরা ডিমওয়ালা ইলিশসহ ঝাটকা ইলিশও ধরছেন নির্বিঘ্নে।

হরনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও বোট মালিক সমিতির সভাপতি আখতার হোসেন জানায় , মেঘনাতে নতুন নতুনচর জাগার কারনে মেঘনাতে মাছের সংখ্যা কম ,তাছাড়া নদীর গভীরতা কম থাকায় মাছের সংখ্যাও কম। তবেগভীর সমুদ্রে গেলে ধরা পড়ছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। তবে বৃষ্টি হওয়ায় এখন নদীতেও মাছ পাওয়া যাচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা শুরু হবে ৭ অক্টোবর থেকে। এর মধ্য ভালো মাছ ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদী।

 

Loading