প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষার্থীদের কাগজের পরিচয়পত্র দিয়ে আসছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রশাসন। এ নিয়ে নানা সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এদিকে প্রায় ৫ মাস আগে তুলনামূলক ‘উন্নত’ পরিচয়পত্র প্রদানের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হলেও নতুন পরিচয়পত্র এখনো শিক্ষার্থীরা হাতে পায়নি। তবে কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলছেন এ সংক্রান্ত কাজ প্রায় শেষ পর্যায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) এমনটি জানান তিনি।

অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান বলেন, উপাচার্যের নির্দেশক্রমে বিভিন্ন হলের প্রভোস্টদের নিয়ে আমরা এই বিষয়ে কমপক্ষে পাঁচটি মিটিং করেছি। প্রথমদিকে শিক্ষার্থীদের তেমন সাড়া না পেয়ে আবেদনের সময় বাড়িয়ে দিতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গত তিনদিন আগে একটি হলের ২৮০টি আবেদনপত্রসহ অন্য আরেকটি হলের ২০০’র অধিক আবেদন এসেছে। সব প্রিন্টের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা সুন্দর একটি পরিচয়পত্র পাবে। এটি শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বৃদ্ধি করবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে নতুন করে স্মার্ট আইডি কার্ড তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামানকে আহ্বায়ক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হককে সদস্য সচিব করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এ কমিটি হল প্রভোস্টদের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহ করে।

কমিটির সদস্য সচিব ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, আমরা হল প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচয়পত্রের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে তেমন আবেদন না পাওয়ায় সময় বাড়াতে হয়েছে। আমরা এখন পর্যন্ত তিন হলের তথ্য পেয়েছি এবং আগামীকালের (২২ সেপ্টেম্বর) মধ্যে মেয়েদের হলের তথ্যও পেয়ে যাবো। আমাদের হাতে পাওয়া আবেদনের আইডি কার্ড প্রিন্টের জন্য পাঠানো হয়ে গেছে। বাকী আবেদনের তথ্য পাওয়া মাত্রই প্রিন্টে পাঠিয়ে দিব।

শিক্ষার্থীরা কবে নাগাদ পরিচয়পত্র হাতে পাবে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুদিন সময় লাগবে। যেহেতু এক হাজারের অধিক আবেদন তথ্য এসেছে, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে সতর্কতার সাথে দিতে হবে। তাই একটু সময় লাগবে। তবে আমরা যত দ্রুত সম্ভব দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।

স্মার্ট আইডি কার্ড পাওয়া বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রূপম চন্দ্র দাস বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে এতদিন পর স্মার্ট কার্ড পেতে যাচ্ছি শুনে ভালো লাগছে যদিও আরো আগেই এমন উদ্যোগ নেওয়া দরকার ছিল। স্মার্ট আইডি কার্ড একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর জন্য আইডেন্টিটি হিসেবে কাজ করে। সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়াও অনেক জায়গায় যেতে হয় আমাদের। আমাদের সাথে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মার্ট আইডি কার্ডটি থাকে তাহলে যেকোনো জায়গায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি কিংবা কোনো সমস্যায় পড়লে তা আমরা দেখাতে পারি।