নেতাকর্মীদের কোনও সংঘর্ষে না জড়ানোর নির্দেশনা

প্রকাশিত: ৭:০১ অপরাহ্ণ , সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২

দলীয় নেতাকর্মীদের কোনও সংঘর্ষে না জড়ানোর নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের বাইরে গিয়ে কেউ হামলায় জড়িয়ে পড়লে ছাড় দেওয়া হবে না। এসব করলে দায় সরকারের ওপর এসে পড়বে, এটা কিন্তু আমরা ছাড় দেবো না। কোনও খারাপ কাজ আমাদের নেত্রী সহ্য করেন না, তিনি কাউকে রেহাই দেননি। কাউকে আমরা লেলিয়ে দেইনি।

গতকাল বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমÐলীর সঙ্গে দলের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মীদের সংঘর্ষের প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, কুমিল্লা, মিরপুরে হামলা হয়েছে ঠিক। কিন্তু বরিশাল ও চট্টগ্রামে তো বিএনপি নিজেরা মারামারি করেছে। সেটা কিন্তু মিডিয়া ছাপতে চায় না। তাদের নেগেটিভ নিউজও মিডিয়া ছাপতে চায় না।

একটি চিহ্নিত মহল দেশের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা জানে না শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো পিছু হটতে জানেন না, ভয় পান না। এরা জানে না, শেখ হাসিনা হেরে গেলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, বাংলাদেশের স্বাধীনতা হেরে যাবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হেরে যাবে। যদি শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ থাকবে না।

জাতীয়তাবাদীরা আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়, বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুলের বক্তব্যে তাদের মনের কথা বেরিয়ে গেছে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ফখরুল সাহেব বলেছেন পাকিস্তান আমলেই ভালো ছিলাম, তাদের মনের কথা বেরিয়ে গেছে। এই জাতীয়তাবাদীরা আবারও বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। আমরা আমাদের প্রিয় জন্মভূমিকে পাকিস্তান বানাতে দেবো না। এটাই আমাদের আজকের দিনের শপথ, আমরা এই শপথ করছি।

তিনি বলেন, বিএনপি বলে পাকিস্তানের নাম শুনলে আমাদের গাত্রদাহ হয়। হ্যাঁ, ফখরুল সাহেব পাকিস্তানের নাম শুনলে তো আমাদের গাত্রদাহ হবেই, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আমরা বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি। পাকিস্তানের প্রতি আপনার এত পেয়ার কেন ফখরুল সাহেব। তাহলে তো এটাই প্রমাণ হয় ৭১-এর বদলা নিতে জিয়াউর রহমান ৭৫-এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে।

এ সময় ওবায়দুল কাদের সভায় উপস্থিত আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও স¤প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, মিডিয়া বিএনপির যেসব নেতার কাভারেজ দেয়… গণমাধ্যম কি আচরণ করছে? আওয়ামী লীগের কত বড় বড় নেতাদের কি কাভারেজ দেয় বিভিন্ন গণমাধ্যম? এখানে তথ্যমন্ত্রী আছেন, কাভারেজের ক্ষেত্রে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা উচিত।

আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা করা হবে। বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের।

Loading