গণপরিবহনে চলছে চরম নৈরাজ্য

প্রকাশিত: ১:১৮ অপরাহ্ণ , আগস্ট ৮, ২০২২
ফাইল ছবি

বর্ধিত বাসভাড়ার দ্বিতীয় দিনেও গণপরিবহনে চরম নৈরাজ্য চলছে। সিটিং সার্ভিসের নামে বাসে তোলা হচ্ছে দ্বিগুণ যাত্রী। আদায় করা হচ্ছে ইচ্ছেমতো ভাড়া। এতেই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। কোথাও কোথাও যাত্রীদের সঙ্গে এ নিয়ে হচ্ছে বিতর্কও।

সোমবার (৮ আগস্ট) সকালে অধিকাংশ গণপরিবহনেই যাত্রীদের মাঝে অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে। বাড়তি ভাড়ার অজুহাতে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ যাত্রীদের।

যাত্রীরা দাবি করছেন, সরকার ভাড়া বাড়িয়ে পর্যাপ্ত নজরদারি না রাখায় নৈরাজ্যের পাশাপাশি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে তাদের। অন্যদিকে, বাড়তি ভাড়া আদায়ের চার্ট এখনো হাতে না পেলেও ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।

হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের সর্বোচ্চ ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। রোববার (৭ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব মো. মনিরুল আলম প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি সর্বোচ্চ ভাড়া ১ টাকা ৮০ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ২০ পয়সা; ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতাধীন জেলার (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ০৫ পয়সার স্থলে ২ টাকা ৪০ পয়সা; ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া যথাক্রমে ১০ টাকা ও ৮ টাকা নির্ধারিত হয়।

এর আগে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণার পর শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) সঙ্গে বৈঠকে বসেন পরিবহন মালিকরা। বিআরটিএ চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে সড়ক ও পরিবহন মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নূরী বৈঠকে অংশ নেন।

Loading