চিরিরবন্দরে ৪ কোটি টাকার সড়ক উদ্বোধনের আগেই ফেটে গেছে

প্রকাশিত: ৫:৫৯ অপরাহ্ণ , জুলাই ২৫, ২০২২
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার রানীরবন্দর-চিরিরবন্দর সড়কের প্রায় ১৪ কিলোমিটার অংশের উদ্বোধনের আগেই কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের নিম্নমানের কাজে দেখে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সরকারি টাকায় নিম্নমানের কাজ হয়েছে বলে জানান তারা।
সরেজমিনে রানীরবন্দর-চিরিরবন্দর রাস্তায় দেখা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের চার কোটি টাকা ব্যয়ে রাস্তার নির্মাণ কাজ চলছে। রাস্তাটির কাজ শেষ না হতেই বেশ কয়েটি স্থানে ফেটে রাস্তার কার্পেটিং উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। হাত দিয়ে ধরলেই রাস্তার কার্পেটিং উঠে আসে।
স্থানীয় ব্যক্তিদের অভিযোগ, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের অবহেলায় সড়কটি নিম্নমানের করে তৈরি করা হয়েছে। নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার ও ভালোভাবে রাস্তা পরিষ্কার না করেই কার্পেটিং করা হয়েছে। এতে পরের দিন থেকে বিভিন্ন স্থানে পিচ ফাটা শুরু হয়েছে। আবার কোথাও নিচু, কোথাও উঁচু, কোথাও একবারে দেবে গেছে। এতে দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তিতে পড়া এই সড়কে চলাচলকারী লাখো মানুষ আবারও পড়েছে ভোগান্তিতে।
ঘুঘুরাতলির বাজারের ব্যবসায়ী মাসুম আলী জানান, উদ্বোধন না করতেই পিচ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। জনগণের টাকায় এমন নিম্নমানের রাস্তা করে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলেছে কর্তৃপক্ষ। আমরা চাই রাস্তাটি দ্রুত ও ভালোভাবে মেরামত করা হোক।
আন্ধারমুহা গ্রামের মকলেছুর রহমান বলেন, রাস্তার সঙ্গে আমার বাসা হওয়ায় সব সময় রাস্তার কাজগুলো দেখতাম। এত নিম্নমানের কাজ করেছে যে বলেও লাভ হয়নি। পরে আমরা স্থানীয়রা বিষয়টি প্রকৌশলীকে অবগত করেছি কিন্তু তিনি বিষয়টায় কোনো গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে গেছেন।
আটোচালক রহিম উদ্দিন বলেন, রাস্তার কাজ খুব খারাপ হওয়ার কারণে এক মাসের মধ্যে রাস্তা নষ্ট হয়ে গেল। একদিকে নতুন রাস্তা ফেটে গেছে, আবার মাঝখানে রাস্তার কাজ শেষ না করায় ভোগান্তিতে পড়েছি। আমাদের গাড়িগুলোয় নষ্ট হচ্ছে।
ভ্যানচালক মতিয়ার রহমান বলেন, রাস্তার কাজ এত নিম্নমানের হয়েছে যে রাস্তা তৈরি করার পরের দিন থেকে ফেটে গেছে। শুধু দু-এক জায়গায় নয়, বেশ কয়েকটি স্থানে ফেটে গেছে। এখন জনগণের ভোগান্তি ছাড়া আর কী?
এ বিষয়ে চিরিবন্দরর উপজেলা প্রকৌশলী ফারুক হাসান  বলেন, সড়কটি এখনো হস্তান্তর হয়নি। কিছু জায়গায় ফেটে ও দেবে গেছে, এটা নিয়ে নিউজ হওয়ার মতো কিছুই না। এ বিষয়ে আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারব না।

Loading