নীলফামারীর চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী রাজধানীতে গ্রেফতার নিউজ৭১অনলাইন,ঢাকা নিউজ৭১অনলাইন,ঢাকা প্রকাশিত: ৭:১৯ অপরাহ্ণ , জুলাই ২৪, ২০২২ নীলফামারী জেলার চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামী মোঃ মাজেদুল ইসলাম @ মজি (৩৫)’কে রাজধানীর শাহআলী থানাধীন এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪।১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের জন্য র্যাবের প্রতিটি সদস্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাসযোগ্য সমাজ তথা দেশ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।২। ভুক্তভোগী (১৯) একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরী এবং নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানাধীন চিড়াভিজা গোলনা এলাকায় তার পালক মা-বাবার সাথে বসবাস করে আসছে। ভুক্তভোগীর পালিত মা-বাবা উক্ত এলাকায় একটি স্টলে চা বিক্রি করতো। প্রতিদিনের মতো তার পালিত মা-বাবা গত ১৫ জুন ২০২২ তারিখে সকালে তাদের চা স্টলে চা বিক্রি করতে চলে যায় এবং দুপুরের খাবারের জন্য স্টল থেকে বাসায় এসে খাবার খেয়ে ভ‚ক্তভোগীকে একা রেখে পুনরায় চা স্টলে চলে যায়। এই সুযোগে প্রতিবেশী আসামী ভ‚ক্তভোগীকে বাসায় একা পেয়ে চুপিসারে শয়নঘরে প্রবেশ করে কাঠের চৌকির উপর ঘুমন্ত অবস্থায় জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ভ‚ক্তভোগীর আর্তচিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হয়ে তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে আসামী ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে গত ১৬ জুন ২০২২ তারিখে ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে নীলফামারী জেলার জলঢাকা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত ঘটনায় প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়াসহ এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় যার ফলশ্রæতিতে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল পুলিশের পাশাপাশি আসামী গ্রেফতারের জন্য ছায়া তদন্ত শুরু করে।৩। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সংবাদ ও স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল ২৩ জুলাই ২০২২ তারিখ রাত ২১.৩৫ ঘটিকার সময় শাহ আলী থানাধীন রাইনখোলা কাঁচাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী উক্ত ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ মাজেদুল ইসলাম @ মজি (৩৫), জেলা-নীলফামারী’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয়।৪। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামী তার কৃত অপকর্মের বিষয়টি স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভ‚ক্তভোগীকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সুযোগ পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ৫। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। অদূর ভবিষ্যতে এইরুপ অপরাধীদের বিরুদ্ধে র্যাব-৪ এর অভিযান অব্যাহত থাকবে। শেয়ার রাজধানীবিষয়: