পদ্মাসেতু

টোল থেকেই উঠবে খরচ

প্রকাশিত: ৩:০৩ অপরাহ্ণ , জুন ১৬, ২০২২

পদ্মাসেতুতে লগ্নি করা টাকা আর সার্বিক দেখভালের খরচ উঠে আসবে টোল থেকে। মাসে ১শ’ ৩৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

মূল সেতুর নির্মাণের বহু আগে অ্যাপরোচ রোড এবং টোল প্লাজার নির্মাণ কাজ শেষ করে এনেছিল নির্মাণকারী সংস্থাগুলো। এরই মধ্যে টোল রেটও ঘোষণা করেছে সরকার। পদ্মাসেতু টোল প্রদান দুই রকম হবে, একটা হলো সরাসরি টাকা দিয়ে টোল প্রদান করা যাবে। আবার পূর্বে রিচার্জের মাধ্যমে চালকরা সেই কার্ড প্রদর্শন করে সেতুর এপার থেকে ওপারে যাওয়ার সুযোগ পাবেন।

জনগণের টাকায় নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। মোট ব্যয় ৩০ হাজার ১শ’ ৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।

বছরে এক শতাংশ সুদ এই ঋণের। ৩৫ বছরে সুদ-সমেত ৩৬ হাজার কোটি টাকা সরকারের কোষাগারে ফেরত দিতে হবে সেতু কর্তৃপক্ষকে। প্রয়োজন হবে ১শ’ ৪০ কিস্তির।

লগ্নি করা টাকা ফেরাতে বছরে এক হাজার ৬শ’ ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার টোল আদায় করতে চাইছে সরকার।

পদ্মাসেতু প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, “টোলের টোটাল কালেকশন থেকে সেতু রক্ষণাবেক্ষণ, টোল কালেক্টের খরচ এবং সরকারের লোন শোধ হবে। সেতু তৈরির টাকা সরকার সেতু বিভাগকে লোন দিয়েছে। সেতু বিভাগ প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকা ৩০-৩৫ বছরে সরকারকে ফেরত দিবে। এরকমই চুক্তি হয়েছে।”

পদ্মাসেতুর স্থায়িত্ব নির্ধারিত হয়েছে কমপক্ষে শতবর্ষ। নিয়মিত নিয়ম করে রক্ষণাবেক্ষণ হলে, আয়ুরও বেশি টিকবে এই সেতু। চালিয়ে নিতে হবে নদী শাসনের মনিটরিংও। এই কাজে বছরে খরচ হবে ৭০ লাখ থেকে এক কোটি টাকা।

প্রকল্প পরিচালক বলেন, “নদীর বিহেবিয়ারের উপর ভিত্তিতে করে দেখা যাচ্ছে বছরে হয়তো ৫০-৬০ কোটি টাকা খরচ হবে।”

টোল আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক থাকলে ২০ থেকে ২৫ বছরে পুরো টাকা তুলে আনা সম্ভব হবে বলেও আশা করছে সেতু কর্তৃপক্ষ।

Loading