সয়াবিন তেল শূন্য খাতুনগঞ্জ

প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ , মে ৭, ২০২২

চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ভোজ্যতেল শূন্য। মিল মালিকরা সরবরাহ না করায় বিপাকে পাইকারি ব্যবসায়ীরা। এদিকে খুচরা বাজারে সয়াবিন তেলের দাম চড়া।

মিল মালিকরা কোনো ডিও কিংবা এসও ইস্যু না করায় চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে তেল নেই বললেই চলে। সিন্ডিকেট কারসাজির পাশাপাশি নানা অজুহাতে আড়াই বছরে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা আন্তর্জাতিক বুকিং রেট বাড়ার কথা বললেও কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) অভিযোগ সরকার তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ।

২০২০ সালের জানুয়ারিতে খাতুনগঞ্জে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম মাত্র ৮৫ টাকা ছিল। তা আড়াই বছরের মাথায় এসে সরকার ১৯৮ টাকা দর নির্ধারণ করতে বাধ্য হয়েছে। গত ৫ মাসে লিটারে ৫০ টাকা বাড়তি হিসাবে ভোজ্যতেলের দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে।

সয়াবিন তেলের দাম বাড়ার বিষয়ে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের মেসার্স আর এন এন্ট্রারপ্রাইজের মালিক আলমগীর পারভেজ বলেন, আন্তর্জাতিক বুকিং রেট প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। সে হিসেবে তেলের বাজার তো তিনগুণ বাড়েনি। বাজার দ্বিগুণের তুলনায় একটু বেশি বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়েছে তিনগুণ। সে ক্ষেত্রে তো তেলের দাম বাড়বেই।

এদিকে সরকার বৃহস্পতিবার (৫ মে) নতুন দর নির্ধারণ করে শুক্রবার (৬ মে) থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিলেও বাজারে তেলের সংকট কাটছে না। মিল মালিকরা কোনো ডিও কিংবা এসও ইস্যু না করায় বাজারে তেল নেই বললেই চলে।

বাজারে তেল না থাকার অভিযোগ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, মিল পর্যায়ে খোলা তেল দিচ্ছে। কিন্তু বোতলজাত তেল দিচ্ছে না। কোম্পানিগুলো আগে থেকেই ডিও নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। রোববার (৮ মে) থেকে নতুন নির্ধারিত দাম মোতাবেক চালু হবে।

২০২০ সালের শুরুতে তেলের দাম বাড়ানোর অজুহাত ছিল করোনার প্রভাব। এখন অজুহাত দেখানো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তবে ক্যাবের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট কারসাজি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে।

চট্টগ্রাম ক্যাবের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক বাজারে ২০০ ডলার পর্যন্ত তেলের দাম কমেছে। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, সে সময়ে আমাদের দেশে তেলের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে। এ অবস্থায় আমরা মনে করি, এখানে মিল মালিক, আমদানিকারক, ডিলার, রিফাইনার এবং খুচরা ব্যবসায়ী- যে যেখানে পেরেছে সেখানে কারসাজির আশ্রয় নিচ্ছেন। অনেকে তেল মজুত করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। যার পুরোটাই বিদেশ থেকে ৬ থেকে ৮টি প্রতিষ্ঠান আমদানি করছে। -সময় সংবাদ

Loading