নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ মেম্বার এসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ হোসেন আলী মাস্টার

প্রকাশিত: ১০:১৭ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ১৩, ২০২২

বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দেশের সকল ইউপি সদস্যগণ ও আশুলিয়ার সর্বশ্রেণীর মানুষজন সহ দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সম্মানিত সভাপতি, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ হোসেন আলী মাস্টার । তিনি শুভেচ্ছা বার্তায় বলেন সারা বছরের দুঃখ-জরা, মলিনতা ও ব্যর্থতাকে ভুলে সবাইকে নব-আনন্দে জেগে ওঠতে হবে। ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির সম্প্রীতির দিন, বাঙালির মহামিলনের দিন। এদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমগ্র জাতি জেগে ওঠে নবপ্রাণে, নব-অঙ্গীকারে।
আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জননন্দিত এই জনপ্রতিনিধি আরো বলেন,
পহেলা বৈশাখ বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্য। মোগল সম্রাট আকবর ‘ফসলি সন’ হিসেবে বাংলা সন গণনার যে সূচনা করেন- তা সময়ের পরিক্রমায় আজ সমগ্র বাঙালির কাছে অসাম্প্রদায়িক চেতনার এক স্মারক উৎসবে পরিণত হয়েছে । বাঙালির আত্মপরিচয় ও শেকড়ের সন্ধান মেলে এর উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে। পহেলা বৈশাখের দিকে তাকালে বাঙালি তার মুখচ্ছবি দেখতে পায়। বৈশাখ আমাদের নিয়ে যায় অবারিতভাবে বেড়ে ওঠার বাতায়নে, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সমৃদ্ধিতে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে। পাকিস্তান আমলে ঔপনিবেশিক শক্তি বাঙালির ঐতিহ্যকে নস্যাৎ করতে চেয়েছে। বাঙালিরা দুর্বার প্রতিরোধে আত্মপরিচয় ও স্বীয় সংস্কৃতির শক্তিতে তা প্রতিহত করেছে। সেই শক্তিকে ধারণ করে শামিল হয়েছে মুক্তির সংগ্রামে। সংস্কৃতি ও রাজনীতির মিলিত স্রোত পরিণত হয়েছে স্বাধিকার ও স্বাধীনতার লড়াইয়ে। এভাবেই বিশ্বের বুকে অভ্যুদয় ঘটেছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনেস্কো কর্তৃক পহেলা বৈশাখের ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। নববর্ষের এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। এই পথ বেয়ে বিশ্বসমাজে বাঙালি হয়ে উঠবে শ্রেষ্ঠ জাতি।

শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি আরো বলেন, পহেলা বৈশাখ নতুন ভাবনা, নতুন এক মাত্রা নিয়ে আসে আমাদের মাঝে। আমরা সৌভাগ্যবান যে ২০২০-২০২১ জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী অর্থাৎ মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যুগপৎভাবে বর্ণাঢ্য কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করেছি। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতিরাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে এ বছর আমাদের জাতীয় জীবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক, উদারনৈতিক, জাতীয়তাবাদী ও গণতন্ত্রের ভাবাদর্শে আজীবন যে সংগ্রাম করে গেছেন তারও মূলমন্ত্র জাতিগত ঐতিহ্য ও অহংকার। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শের মূলসূত্র নিহিত আছে জাতিগত বিকাশ ও উত্তরোত্তর সমৃদ্ধিতে। সেই আদর্শে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন, দেশ পুনর্গঠনে কাজ করেছে তাঁর অভিন্ন চেতনা। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ, উগ্রবাদ তথা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ তথা সুখী-সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রার পথে এবারের বৈশাখ হবে বিপুল প্রেরণাদায়ী। শুভ নববর্ষের এই শুভ ক্ষণে আমি বিশ্ব নেত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি সেই সাথে অনাবিল সুখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি আমার প্রিয় আশুলিয়াবাসী সহ দেশবাসীর জন্য ।

Loading