বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান

প্রকাশিত: ৩:৪৫ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৭, ২০২২

বিদ্যুৎ ব্যবহারে গ্রাহকদের সংযমী ও মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) সকাল ৯টা ৪৩ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

নসরুল হামিদ বলেন, রোজা, গ্রীষ্ম এবং সেচ মৌসুম- সব মিলিয়ে বিদ্যুতের চাহিদা প্রচণ্ড বেশি। শতভাগ বিদ্যুৎ নিশ্চিত করার পর সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বাত্মক কাজ করছে। এক্ষেত্রে গ্রাহকবৃন্দ সবার স্বার্থে বিদ্যুৎ ব্যবহারে আপনাদের সংযমী এবং মিতব্যয়ী আচরণ প্রত্যাশা করছি।

ওই পোস্টে ‘পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে সম্মানিত বিদ্যুৎ গ্রাহকদের প্রতি আহ্বান’ শিরোনামে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি লিফলেটও শেয়ার করেছেন তিনি।

লিফলেটে বলা হয়, বিগত একযুগে বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় উন্নতির ফলে একদিকে যেমন দেশের সব জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে, তেমনই চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতাও বেড়েছে। সরকার গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ বছর পবিত্র রমজান, গ্রীষ্মকাল ও সেচ মৌসুম একই সময়ে হওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা অত্যাধিক বেড়েছে। অন্যদিকে বর্তমানে বৈশ্বিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির মূল্য অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে সম্মানিত গ্রাহকদের বিদ্যুতের অপচয় রোধ ও বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে নিম্নোক্ত বিষয়সমূহ পালনের জন্য অনুরোধ জানানো যাচ্ছে-

১. বিদ্যুতের অপচয় রোধে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জামাদি ব্যবহার করি।

২. দিনের বেলায় জানালার পর্দা সরিয়ে রাখি ও সূর্যের আলো ব্যবহার করি।

৩. ইফতার ও তারাবির সময় মসজিদ, শপিংমল, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এসি’র তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রাখি।

৪. দোকানপাট, শপিংমল, বিপনি-বিতান, পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি গ্যাস স্টেশনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাতির ব্যবহার পরিহার করি।

৫. পিক আওয়ারে বৈদ্যুতিক বিলবোর্ড বন্ধ রাখি।

৬. পিক আওয়ারে রি-রোলিং মিল, ওয়েল্ডিং মেশিন, ওভেন ও ইস্ত্রির ব্যবহার বন্ধ রাখি।

৭. ইজিবাইক, অটোরিকশা ইত্যাদি অবৈধভাবে চার্জিং হতে বিরত থাকি।

৮. অফপিক সময়ে রাত ১১টা থেকে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত সেচ পাম্প চালাই।

৯. সেচ পাম্পে সাশ্রয়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিতে ‘ওয়েট অ্যান্ড ড্রাই’ পদ্ধতিতে সেচের ব্যবস্থা নিই।

১০. সিএনজি পাম্পসমূহ বিকেল ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত বন্ধ রাখি।

১১. কোনো কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটলে ধৈর্য্য সহকারে কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা করি।

Loading