নোয়াখালীতে স্বাধীনতা বিরোধী ও ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম দুলাল এর সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ৫:১২ অপরাহ্ণ , এপ্রিল ৪, ২০২২

ইফতেখাইরুল আলম,নোয়াখালী

নোয়াখালী জেলার কবির হাট উপজেলাধীন বড় রামদেবপুর মৌজার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.মাহবুব আলম দুলাল এর মালিকীয় খাস-দখলীয় ভূমি স্বাধীনতা বিরোধী ও ভূমিদস্যুদের অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ৩ ই এপ্রিল রবিবার বিকেল ৩ টার দিকে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এ সময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব আলম দুলাল বলেন,১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চে ভাষণের পর ৮ ই মার্চ তিনি কবির হাট কলেজের প্রায় শতাধিক ছাত্র শহীদ মিনার ছুঁয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের শপথ নেন ও তিনি তখন কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচত সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ছাএলীগ কবিরহাট কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।পরে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করে ১৬ ই ডিসেম্বর এর পরে ১৬ ই জানুয়ারি ঢাকা স্টেডিয়ামে সরাসরি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে পূনরায় তিনি ছাত্র জীবনে ফিরে আসেন।বর্তমানে তিনি ঢাকায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন এবং মাঝে মধ্যে নিজ বাড়িতে কবিরহাট ঘর বাড়ি দেখতে আসেন।ইতোমধ্যে তিনি কবিরহাট থানাধীন মুক্তিযুদ্ধা কল্যান পরিষদের সভাপতি নির্বাচত হন এবং কবিরহাট থানা আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য।বিগত ৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জৈষ্ঠ পুএ শেখ কামাল এর জন্মদিনে কবির হাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক,নির্বাহী কর্মকর্তা সহ তিনি শেখ কামালে মুরলে পুষ্প স্তবক অর্পণ করি।এই ছবিটি ফেইসবুকে প্রকাশ করে মৃত আমিন উল্যাহ ছেলে মামুনুর রশীদ, মফিজ উল্যাহ ছেলে একরাম প্রকাশ জাবেদ, ফজলুল হকের ছেলে রিয়াদ,মুমিনুল হকের ছেলে সফিকুর রহমান সর্ব সাং বড় রামদেবপুর।ফেইসবুকে অশ্লীল মানহানিমূলক মন্তব্য করে তাই উপরোক্ত চার জনের বিরুদ্ধে তিনি বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইবুন্যাল আদালত,চট্টগ্রামে ১২২/২১ নং মামলা দায়ের করে বিবাদের কাছ থেকে চারটি জব্দ করে আদালত।এ ঘটনার পরে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীর আংশিক জমি জমা ও পুকুর জোর পৃর্বক দখলের চেষ্টা করে।পরে আবার তিনি কবির হাট থানায় হাজীর হয়ে ১ ই মার্চ ২০২২ ইং তারিখে ১৭ নং জিডি করে। এতে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে পুনরায় আবার কবিরহাট থানায় গত ২ ই এপ্রিল ২০২২ ইং তারিখে একেই থানায় ৬৭ নং জিডি করা হয়।যা বর্তমানে তদন্ত ধীন রয়েছে।উক্ত জিডির ১নং বিবাদী শহীদ উল্যাহ রাষ্ট্রবিরোধী লোক অতীতে তার লেখা পড়ার খরচের জন্য আমি সহ সমাজের বিওবান লোকদের যাকাতের টাকা দিয়ে কবিরহাট কলেজে ভর্তি করাই। দূর্ভাগ্যবশত ২ বার আইয়ে ফেল করার পর তার পিতা মোস্তফা মোল্লার শেষ সম্ভল ১৩ শতক জমি আমার নিকট বিক্রি করে তাকে সৌদি আরব পাঠানো হয়।বর্তমানে সে চট্টগ্রামে একজন সঘোষিত শিল্পপতি।তার ১২ টি জাহাজ ও ২ টি ফাইভ স্টার হোটেল ও ৭ টি বিলাসবহুল বাড়ি আছে।শুধু তা নয় তার পিতা মোস্তফা মোল্লা একজন গ্রাম্য নাঠা এজন্য তাহার ভাতিজা মৃত আব্দুর রশিদ মোল্লা তার একটি চোখ নষ্ট করে দেয়।এ জন্য তাকে এলাকায় মোতাকানা বলে জনগনে ডাকে।এইছাড়া মোজাম্মেল হক নামীয় ব্যক্তি পেশায় একজন জুয়াড়ি ও মাদক সেবি।মাদক ও জুয়ার আসর থেকে পুলিশ কয়েক বার তাকে থানায় নিয়ে যায় এবং মৌলভী ছায়েদল হক একজন রাজাকার ছিলেন এর আগে তিনি রাজশাহী জেলার মোহনপুর হাইস্কুলের হেড মাওলানা ছিলেন তিনি ১৯৭১ সালে নভেম্বরের শেষ সাপ্তাহে দেশে ফিরে এসে আর কখনো কর্মস্থলে ফিরে যায় নি।বীর মুক্তিযুদ্ধা মাহবুব আলম দুলাল আরও বলেন, গত ২৫ শে মার্চ ২০২০ ইং রোজ শুক্রবার জুমার নামাজের পর মসজিদের ভিতর শহীদ উল্যাহ ভাতিজা আমার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করায় এ সময় মুসল্লি সার্জেন অবঃজহির উদ্দিন বাবর ও অন্যান্য মুসল্লীগন প্রতিবাদ করায় মসজিদের ভিতর তুমুল হট্রগোল হয় এবং বাবরকে বিবাদীরা বেদম মারধর করে তার বড় ভাই বিজিবিতে কর্মরত আবুলকেও তারা মারধর করার পরে গুরুত্ব আহত অবস্থায় তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সদর হাসপাতাল থেকে তাদের বহিরাগত সন্রাসীরা উঠিয়ে নিয়ে যায়।পরে বাদ্য হয়ে সাথে সাথে ৯৯৯ এর সহযোগিতায় সুধারাম মডেল থানার একজন এসআই চার জন সিপাহি নিয়ে ঘটনা স্থলে হাজির হলে এ সময় সন্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।

Loading