বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সাথে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি, সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

প্রকাশিত: ৪:০২ অপরাহ্ণ , ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২

বান্দরবান প্রতিনিধি:- বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সাথে অস্ত্রধারীদের বন্দুকযুদ্ধে দু’পক্ষের চারজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার রুমা-রাঙ্গামাটি সীমান্তবর্তী বথি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে রাইংক্ষ্যং লেক আর্মি ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ও বাকি তিন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।

আজ বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিরিয়ন সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রে জানা যায়, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী’র একটি দল সীমান্তবর্তী বথি পাড়া এলাকায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য সংগঠিত হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাইংক্ষ্যং লেক আর্মি ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে গেলে একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে গুলি চালায়। এ সময় সেনাবাহিনী পাল্টা গুলি চালালে তিনজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গুলিব্ধি হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। সেনাবাহিনীর আক্রমণ টিকে থাকতে না পেরে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যায়। তাদের এলোপাতাড়ি গুলিতে মাথায় গুলিদ্ধি হয়ে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মারা যান এবং সৈনিক ফিরোজ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। সেনা সদস্য ফিরোজকে আজ সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সেনা টহল দলের অভিযানে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ১টি এমএমজি, ২৭৫টি গুলি, ৩টি ম্যাগজিন, ৩টি গাদাবন্দুক, গাদাবন্দুকের ৫টি গুলি, ৪ জোড়া ইউনিফর্ম ও চাঁদাবাজির ৫২ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। সেনাবাহিনী স্থানীয়দের নিরাপত্তার নিশ্চিতে ব্যাপক তল্লাশী অভিযান চালাচ্ছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, পার্বত্য চুক্তি অনুযায়ী সব অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার শর্ত থাকলেও জেএসএস সেই শর্ত ভঙ্গ করে চুক্তির পরবর্তী সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী লালন করছে। অথচ জেএসএসের প্রধান সন্তু লারমা সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিচুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও চুক্তি বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করে থাকে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম, চাঁদাবাজিসহ দুষ্কৃতিমূলক কর্মকান্ড পরিচালনার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে।

Loading