ধামরাইয়ে বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ বন্ধ থাকায় জনগন ভোগান্তিশিকার

প্রকাশিত: ৭:৪৭ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২২, ২০২১

 

ধামরাইয়ের রাজাপুর দেপাশাই বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণকাজ শেষ না হওয়ায় ২০ গ্রামবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ২০২০ সালের ১০ মার্চ এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বছরখানেক কাজ করার পরই করোনাসহ নকশা জটিলতার কারণ দেখিয়ে ঠিকাদার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ। এতে ধামরাই উপজেলার দেপাশাই, পশ্চিম দেপাশাই, পূর্ব দেপাশাই, নয়াপাড়া, কারাবিল, গোয়ালদী, কাশিপুর, সোমভাগ, নওগাঁও, শৈলান, ভালুমসহ প্রায় ২০টি গ্রামে কয়েক লাখ মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে কবে?
উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, দেপাশাই-নয়াপাড়া বংশ নদীর ওপর ৭৫ মিটার দীর্ঘ এ সেতু নির্মাণের জন্য বৃহত্তম ঢাকা গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ও এলজিইডির বাস্তবায়নে চার কোটি ৫৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৭৪ টাকা ব্যয় ধরা হয়। নুনা ট্রেডার্স-ফাস্টবিল্ড জেভি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০১৯ সালের ১১ মার্চ নির্মাণকাজ শুরু করেন। ২০২০ সালের ১০ মার্চ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ করার কথা। কিন্তু বছরখানেকের মধ্যে সেতুর পাইল নির্মাণের পর রড দিয়ে ৪০ মিটার পর্যন্ত সাটারিংও করা হয়। পরে নকশা জটিলতা ও করোনার কারণ দেখিয়ে নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ঠিকাদার। ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেতু নির্মাণ।
সোমভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজাহার আলী বলেন, দেপাশাই-নয়াপাড়া বংশী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ না হওয়ায় ধামরাই উপজেলার দেপাশাই, পশ্চিম দেপাশাই, পূর্ব দেপাশাই, নয়াপাড়া, কারাবিল, গোয়ালদী, কাশিপুর, সোমভাগ, নওগাঁও, শৈলান, ভালুমসহ প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক লাখ মানুষকে ধামরাই সদর ও ঢাকায় যাতায়াতের জন্য প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ সেতুর জন্য এসব এলাকার মানুষকে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নুনা ট্রেডার্স-ফাস্টবিল্ড জেভির প্রকল্প পরিচালক সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, এলাকাবাসী সেতুর উচ্চতা কম হওয়ার বিষয় নিয়ে উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ করায় নকশা জটিলতা ও করোনার কারণে সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। তবে খুব শিগগির সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণেই সেতুর নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারকে সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ে শেষ করার জন্য কয়েক দফায় চিঠি দেওয়া হলেও তারা নানা কারণ দেখিয়ে কাজ বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে খুব শিগগির সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

Loading