বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা যেন দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে -ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১১:৩৬ অপরাহ্ণ , আগস্ট ২১, ২০২১

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেছেন, কোন অবস্থায় যেন বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা জাসদ, কমিউনিষ্ট পার্টি, মাওলানা ভাসানী ও সিরাজ শিকদারের ন্যাপে যোগ দিয়ে দেশে অনাচার ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছিল। একইভাবে এখনও তারা দলের মধ্যে অনুপ্রবেশ করে আওয়ামী লীগকে ধংস করে দেশে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে।

শনিবার বিকেলে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১ আগষ্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলার ১৭তম শোক বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এ সময় বলেন, ১৯৭৫ সালে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীরা যেভাবে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশুণ্য ও নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল সেভাবেই তাদের উত্তরসূরীরা ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা করে। তাদের হামলায় বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আল্লাহ্র আশেষ রহমতে তখন প্রাণে বেঁচে যান তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক হাজারের আধিক নেতাকর্মী এই হামলায় আহত হন।

তিনি আরও বলেন, পরিবারিকভাবে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, যারা বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সঙ্গে রাজনীতি করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দলকে সংগঠিত করতে হবে। নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও শেখ হাসিনার দর্শন শিখিয়ে দলে ভেড়াতে হবে। অপশক্তির ষড়যন্ত্র মেকাবেলার জন্য দলের সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে, নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে দলের শক্তি বাড়াতে হবে। তবেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে ও সার্থক রাষ্ট্র হবে।

এ সময় ভয়াবহ ২১ আগষ্ট হামলার বিচারের রায়ের উল্লেখযোগ্য অংশ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে পাঠ করে শোনান প্রতিমন্ত্রী। পরে ভয়বহ গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া ও মেনাজাত করা হয়।

আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফারুক হাসান তুহিনের সভাপতিত্বে এসময় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শাহাদাৎ হোসেন খান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভূইয়া (মাষ্টার), শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম সুজন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, পাথালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পারভেজ দেওয়ান, ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কাদির দেওয়ান, সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান শাহেদ, আশুলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেন সরকার, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, আশুলিয়া থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শহিদুল্লাহ মুন্সি, শ্রমিকলীগের আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক সানাউল্লাহ সানি।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য রাজু আহমেদ, আশুলিয়া থানা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মঈনুল ইসলাম, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সদস্য সুমন আহমেদ ভূইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ধামসোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম। আলোচনা ও দেয়া শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে সন্ধ্যায় খাবার বিতরণ করা হয়।

Loading