নতুন প্রজন্মের অনিশ্চিত জীবন ও করোনার অভিশাপ। সামছুদ্দোহা ফরিদ সামছুদ্দোহা ফরিদ প্রকাশিত: ১০:৫৪ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৯, ২০২১ নতুন প্রজন্মের অনিশ্চিত জীবন ও করোনার অভিশাপ। আজ সারা বাংলায়, শোকের মাসে শোক বিরাজ করছে তরুনদের। ঝুলে আছে আগত দিনের স্বপ্নের জীবন গড়া। সোনালী দিনের আরোহনের সোপান ভেঙে নতুন প্রজন্মের প্রস্তুতির ভাটা পড়েছে। হতাশায় অস্থির মন ছাত্র জীবনে যাতনার স্থির আবাসনের রূপ নিয়েছে। হাতছানি দিয়ে সোনালী দিন গুলো আর তাদের ডাকে না। উন্নতির স্ব্রর্ণ শিখরের ভাবনা তারা প্রায় ভুলে যাচ্ছে। ঘুম পাড়ানি মাসিপিসির গানে আর তাদের ঘুম হয় না। আর ঘুমাতে তাদের ভাল লাগছে না। প্রতিদিন আগামীদিনের সূর্য দর্শনে প্রতীক্ষমান নওজোয়ানদের। নতুন সকালের সাক্ষাত আর মিলেছ না। তাই মাঝ পথে লক্ষে না পৌঁছে অলক্ষেই তারা নোঙর ফেলেছে। ব্যর্থতার সুর অবস মুর্ছনায় তাদের স্বপ্ন কে তছনছ করে দিয়েছে। আগুয়ান তরুনরাই নতুন পথের সূচনা করে। আজ সেই তরুনরাই দিক। নির্দেশনার পথ হারিয়ে অবচেতন হয়ে পড়েছে। যারা শেষ পর্যায়ে তারা সরষে ফুল দেখছে। আবার কেহ কেহ নিন্ম পর্যায়ের কর্মে লেগে গেছে। পড়া শুনার৷ চাপ না থাকাতে বকে গেছে অর্থাৎ বখাটের সংখ্যা ও কম নয়। কিছুটা সচ্ছল পরিবারের পড়ুয়া টিকে আছে। অসচ্ছল পরিবারের প্রায় চল্লিশ শতাংশ ঝড়ে পড়েছে কারণ বর্তমানে এদের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে পড়েছে। মেয়েদের ক্ষেত্রে অসচ্ছলতার প্রভাবের চেয়েও আরো বেশি সূচনীয় প্রায় পঞ্চাশ শতাংশ ঝড়ে পড়েছে। অন লাইনে ক্লাস আর এসাইনমেন্টের ধুম্রজালে কিছুটা বেগমান হলেও অবস্থার তেমন একটা পরিবর্তন হয়নি। ইন্টারনেট অথবা কারো মাধ্যমে ব্যবস্থায় হয়ে যায়। এটা একটা ফরমায়েশির কাজ হয়ে পড়েছে মাত্র। অন্য দিকে অন লাইনে বিড়ম্বনাও কম নয়। আগ্রহ, ধৈর্য ও চাপ এ তিনটি সক্রিয় না থাকলে পড়া শুনার পরিবর্তে তাদের গবেষণার কাজ শুরু হয়। অর্থাৎ বিভিন্ন ভিডিও,গেমস,ফেসবুক ইত্যাদির সুযোগ নেয়া। বেকার কাজ ও স্বপ্নে খাওয়া বাস্তবতা হতে পারে না। আগামী প্রজন্মের কান্ডারী ধ্বসে পড়লে ভবিষ্যতের চিত্রটা কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। অটো পাশকে শিক্ষার্থীরা কলংক মনে করত, এখন আর ভাবে না। ভাবে কাল ক্ষেপন, সময়ের ব্যবধান। তবে যাই হোক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের সাগরে হাবুডুবু খাচ্ছে আজকের ভোগান্তি শিক্ষার্থীরা। অভিভাবকরাও এ দুর্ভাবনা থেকে মুক্ত নয়। সীমাহীন দুর্ভাবনা দূর হোক, আগের মত হোক যেন সব কিছুই এটা আজকের সকলের প্রত্যাশা। শেয়ার অন্যান্য বিষয়: