ইতিহাসের জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৯৭৫ সালে

প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৬, ২০২১

আজ ১৫ আগস্ট। জাতীয় শোক দিবস। ইতিহাসের জঘন্যতম, নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটে ১৯৭৫ সালের এই কালরাতে। এ দিন গোটা বাঙালি জাতিকে কলঙ্কিত করেছিল সেনাবাহিনীর উচ্ছৃঙ্খল কিছু বিপথগামী সদস্য। সেদিন রাতে ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর সড়কের ঐতিহাসিক ভবনে ঘাতকের নির্মম বুলেট বিদ্ধ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বুক।

অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু ঘাতকের বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েও খুনিদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন ‘তোরা কী চাস? আমাকে কোথায় নিয়ে যাবি?’ বঙ্গবন্ধুকে দেখেও হাত কাঁপেনি খুনিদের। গুলি চালিয়েছে খুনে চাহনীতে।সেদিন ঘাতকের হাতে প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল, রোজী জামাল, ভাই শেখ নাসের, কর্নেল জামিল।

খুনিদের বুলেটে সেদিন আরও প্রাণ হারান বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, শিশু বাবু, আরিফ রিন্টু খানসহ অনেকে। ওই সময় দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা।

 

জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব কাউসার আহমেদ পলাশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং বলেন ঘাতকচক্র বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী এবং উন্নয়ন ও গণতন্ত্রবিরোধী চক্রের যে কোনও অপতৎপরতা-ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করার জন্য সর্বদা প্রস্তুত থাকতে হবে।

কাউসার আহমেদ পলাশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে লালন করেই রাজনীতিতে এসেছিলেন এবং তাঁর আদর্শ ধারন করেই রাজনীতি করে যাচ্ছেন। তাঁর জন্মের পর থেকেই তাঁর বাবাকে দেখেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে। সেখান থেকেই তাঁর শিক্ষা।

 

পলাশ বলেন, বঙ্গবন্ধু দৃঢ়বিশ্বাস করতেন স্বাধীন বাংলাদেশে কোনও বাঙালি তাঁর নিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে না। সেজন্য তিনি গণভবনের পরিবর্তে থাকতেন ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসভবনে। যে বাড়িটি বাঙালির স্বাধিকার-স্বাধীনতা আন্দোলনের সূতিকাগার হিসেবে অসম্ভব প্রিয় ছিল বঙ্গবন্ধুর। এখানে থেকেই তিনি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজে সর্বশক্তি নিয়ে ব্রতী ছিলেন।

শুধু তাকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি হায়েনারা। বারবার চেষ্টা করেছে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় শেখ হাসিনা অলৌকিকভাবে রক্ষা পেলেও কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন, আহত হয়েছিলেন শত শত আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী একযোগে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে।

Loading