ধামরাইয়ে বিষমুক্ত মিশ্র ফলবাগান উৎপাদনে সাফাল্য

প্রকাশিত: ১২:১৬ অপরাহ্ণ , আগস্ট ১৪, ২০২১

সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে বিশেষ করে বিষমুক্ত সারা বছর ফলের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যই বাগানটি গড়ে তোলা হয়েছে। ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার কুশুরা ইউনিয়নের বৈন্যা গ্রামে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ‘‘আসফ’’ এর চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ এনামূল হক আইয়ুব নিজ গ্রামে প্রায় ১ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তুলেছেন শখের মাল্টাসহ মিশ্র ফলের বাগান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বছর ব্যাপি ফল উৎপাদন প্রকল্প আওতায় গড়ে উঠা এই মিশ্র ফলবাগানটিতে রয়েছে এ বারি—১ জাতের মাল্টা গাছ, ভিয়েতনামী নারকেল, সিডলস লেবু, পেয়ারা, সাত জাতের আমগাছ।

মূলত সারা বছর পুষ্টি তথা ফলের চাহিদা মেটানোর লক্ষ্যেই বাগানটি গড়ে তুলা হয়েছে। জাত নির্বাচন, চাষাবাদ ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে পরামর্শ সহায়তা দিয়ে চলেছেন ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আরিফুল হাসান। প্রতিটি গাছের শাখায় শাখায় অগনিত মাল্টার ফলন বাগানটিকে দৃষ্টি নন্দন করে তুলেছে। মুক্তিযোদ্ধার এ বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি গাছে গাছে ঝুলছে মাল্টা আর মাল্টা।

বাগান স্বত্ত্বাধীকারি মুক্তিযোদ্ধা এনামুল হক আইয়ুব বলেন, বারি—১ জাতের মাল্টা উচ্চ ফলনশীল এবং লাভজনক। আমি আশা করব আমাদের যুবসমাজ ও চাষিরা বারি—১ জাতের মাল্টা চাষ করেলাভবান হবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো আরিফুল হাসান বলেন, আমাদের দেশেচাষ উপযোগি বারি—১ জাতের মাল্টা উচ্চ ফলনশীল, সুস্বাদু ও লাভজনক। এ জাতের মাল্টা চেনার উপায় হলো, মাল্টার রং হবে সবুজ, প্রতিটি মাল্টার পেছনে অবশ্যই পয়সার মত গোলাকার চিহ্ন থাকবে। প্রতিটি গাছের মাল্টা বিক্রি করে পাওয়া যাবে সাড়ে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা। চাষি ও যুবসমাজ এ জাতের মাল্টা চাষে ঝুঁকলে স্থানী য় চাহিদা পূরণ করে বিদেশে মাল্টা রপ্তানি সম্ভব হবে ।

 

Loading