চট্টগ্রামে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর দাবি ক্যাবের

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ , আগস্ট ৭, ২০২১

চট্টগ্রামের সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে করোনাসহ সব ধরনের চিকিৎসার জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে ক্যাব। শনিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়

“চিকিৎসা সেবা সব নাগরিকের মৌলিক অধিকার, কারো দয়া নয়” পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে করোনা রোগীদের বাঁচার হাহাকার। এই হাহাকার শুধু মাত্র জীবন বাঁচানোর, চিকিৎসা সেবা পাবার অধিকারের হাহাকার। চট্টগ্রাম দেশের বানিজ্যিক রাজধানী ও বৃহত্তম শিল্প-বন্দর নগরী হলেও আধুনিক সরকারি-বেসরকারী কোন চিকিৎসা সেবা গড়ে উঠেনি। ফলে করোনা মহামারী কালে হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত আইসিএইউ-এইচডিইউ সুবিধা গড়ে উঠেনি, অক্সিজেন সরবরাহ ও শয্যা সংকট প্রকট। বিগত কয়েকদিন ধরেই দেশের সর্বোচ্চ মৃত্যু চট্টগ্রামে মৃত্যুপুরিতে পরিণত হলেও পর্যাপ্ত শয্যা সংকটে রোগীরা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করছে। ফলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মরছে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য বিভাগসহ কারও কাছে হাসপাতাল ও ক্লিনিকের খালি শয্যার কোন প্রকৃত তথ্য না থাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থায় চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। আবার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে বিভাগীয় কমিশনার অফিস কর্তৃক গঠিত তদারকি কমিটিও কার্যকর নাই। তাই পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে শুরু হয়েছে শুধু নিঃশ্বাস নেবার অভিপ্রায়। এই অবস্থায় চট্টগ্রামের সকল সরকারি-বেসরকারি ক্লিনিকে করোনাসহ সাধারণ রোগী ভর্তি করতে দ্রুত শয্যা সংখ্যা বাড়ানো ও করোনাসহ সকল প্রকার রোগের চিকিৎসা সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত করা ও বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু বন্ধের জন্য মানবিক আবেদন জানিয়েছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম নেতৃবৃন্দ।

সরকারি-বেসরকারী হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা সেবা বঞ্চিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বৃদ্ধির সংবাদে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু, সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু, যুগ্ন সম্পাদক ডাঃ মেজবাহ উদ্দীন তুহিন, তৌহিদুল ইসলাম, ক্যাব চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কে এনএম রিয়াদ ও সম্পাদক নিপা দাস উপরোক্ত দাবি জানান।

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন প্রতিদিন করোনায় মৃত্যুেত সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম বিভাগ, তারপরও সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি শয্যা ও আনুসাংগিক সুবিধা না বাড়িয়ে মানুষকে মৃত্যুরদিকে ঠেলে দিচ্ছে। আবার বেসরকারী হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলি সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ওপর নির্ভরশীল। আবার অনেক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক একদিকে সরকারি চিকিৎসক অন্যদিকে বেসরকারি ক্লিনিকের মালিক। কিছু চিকিৎসকের দ্বৈত ভূমিকার কারণে মানুষ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পায় না, আবার বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়েও সেখানেও জিম্মি।

Loading