করোনা রোগীর সনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে শামীম তালুকদার শামীম তালুকদার বিশেষ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ , জুন ২৯, ২০২১ নেত্রকোণা জেলার সীমান্তবর্তী দুই উপজেলা সহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় করোনা রোগী সনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। সীমান্তবর্তী দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। দিন কাটছে করোনা আতঙ্কে। রোগীরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন ক্লিনিকগুলোতে ভিড় করছেন। জানা গেছে, জেলার দুর্গাপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের মধ্যে কুল্লাগড়া ও দুর্গাপুর সদর ইউনিয়ন সীমান্তবর্তী হওয়ায় ওই এলাকার সাধারণ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন নানা কাজে যায়। দেশের বর্তমান করোনা প্রেক্ষাপট এবং সীমান্তের ওপারে ভারতে মেঘালয় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী বেশী থাকায় আতংকে রয়েছে এলাকাবাসী।মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে আদিবাসী পল্লীর মানুষ কে কাজের সন্ধানে বের হতে হয়। জেলার সীমান্তবর্তী কলমাকান্দা ও দুর্গাপুর ঘুরে দেখা গেছে,দুই উপজেলায়ই সাধারণ মানুষ সর্দি -জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে।তারা অনেকেই স্হানীয় হাসপাতালে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন।নিজেরাই স্হানীয় বাজার থেকে ঔষধ কিনে খাচ্ছেন।কথা হয়(রবিবার) দুর্গাপুরের ফারংপাড়ার ষাটোর্ধ মনির হুসেনের সাথে।তিনি বলেন,’দুইদিন যাবৎ জ্বর দেখা দিয়েছে।বাজার থেকে প্যারাসিটামল কিনে খাইছি। এখন জ্বর কিছুটা কমের দিকে।’আরো কয়েকজন একই ধরনের কথা বলেন। কলমাকান্দা’র বড়ুয়াকোনা বিওপির ইনচার্জ নায়েব সুবেদার হযরত আলী বলেন,’আমরাকঠোর অবস্হানে আছি।উপরের নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি।সীমান্তের ওপার থেকে কোন মানুষকে এপারে আসতে এবং এপার থেকে ওপারেও যেতে দিচ্ছি না।অবৈধ চলাচলের বিষয়ে আমরা শুরু থেকেই কঠোর অবস্হানে রয়েছি।’ দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানজিরুল ইসলাম জানান, প্রতিদিন মানুষ স্বাস্হ্য কেন্দ্রে জ্বর, সর্দি -কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। মেডিক্যাল অফিসার গণ জরুরি সেবা চালু রেখেছেন। আগতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও নিজ নিজ বাড়ীতেই স্বাস্হ্যবিধি মেনে অবস্হান করতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। নেত্রকোণার জেলা প্রশাসক কাজি মোঃআব্দুর রহমান জানান,করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে। সাধারণের চলাচলের বিষয়েও সতর্কতা জারী করা হয়েছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিং ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।সীমান্ত এলাকায় মানুষের চলাচলে বিজিবি’র নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। শেয়ার অন্যান্য বিষয়: