চট্টগ্রামে এলাকাভিত্তিক লকডাউন আসছে?

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ , জুন ২২, ২০২১

বেশ কিছুদিন ধরেই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে চট্টগ্রামে। তবে আগে মহানগর এলাকায় সংক্রমণ বেশি দেখা গেলেও এই সময়ে এসে গ্রামাঞ্চলেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। পাল্লা দিয়ে রোগীর চাপও বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। বিশেষ করে গত ১০/১৫ দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২ সপ্তাহ আগেও করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত কেবিন/শয্যা বেশিরভাগই খালি ছিল। কিন্তু গত ১০/১৫ দিনে এ চিত্র পাল্টে গেছে। এই সময়ে রোগীর চাপ তীব্র হয়েছে হাসপাতালগুলোতে। তবে আইসিইউতে চাপ তুলনামূলক বেশি বলে চিকিৎসক ও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

সংক্রমণ দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি আরো অবনতির শঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিভাগ সংশ্লিষ্টরা। এখনই পদক্ষেপ না নিলে এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে বলেও অভিমত সংশ্লিষ্টদের। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের অতি সংক্রমণশীল এলাকাগুলোতে এলাকা ভিত্তিক লকডাউনের চিন্তা-ভাবনা করছে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ। সিদ্ধান্ত গ্রহণে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি আজ জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বেলা তিনটায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে অংশ নেবেন। জেলা প্রশাসক জেলা পর্যায়ের এ কমিটির সভাপতি। আর সিভিল সার্জন কমিটির সদস্য সচিব।

চট্টগ্রামের অতি সংক্রমণশীল এলাকাগুলোয় অনেকটা ‘কঠোর লকডাউনের’ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বৈঠক থেকে। বিশেষ করে কয়েকটি উপজেলায় এই এলাকাভিত্তিক লকডাউন কার্যকরের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে। প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন আভাস মিলেছে। যদিও এ বিষয়ে স্পষ্ট করে বলতে চাননি জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান ও সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। মঙ্গলবারের (আজ) বৈঠকে আলোচনার মাধ্যমে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তাঁরা।

তবে একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, অতি সংক্রমণশীল এলাকা হিসেবে ফটিকছড়ি. হাটহাজারীসহ অন্তত কয়েকটি উপজেলায় কঠোর বিধি নিষেধ আরোপ হতে পারে। এসব উপজেলায় এলাকাভিত্তিক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে বৈঠকে।

সংক্রমণ বৃদ্ধির হার আশঙ্কাজনক মন্তব্য করে সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বিও বলেছেন, মহানগর এলাকা তো আছেই। তবে এবার কয়েকটি উপজেলায় সংক্রমণের হার বেড়েছে। হাটহাজারী, ফটিকছড়ি, সীতাকুণ্ড, মীরসরাই ও বোয়ালখালী উপজেলায় সংক্রমণ ব্যাপক হারে বেড়ে গেছে। অর্থাৎ শহরের পাশাপাশি শহরতলী (শহরের আশপাশ) এলাকাগুলোতে সংক্রমণ বেশি। এরকম কিছু এলাকা আমরা চিহ্নিত করেছি। অতি সংক্রমণশীল এসব এলাকায় বিধি নিষেধের আওতা আরো বাড়ানোর বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। তবে বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। ## আজাদী

Loading