আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ইসির মামলা,আদালতে লড়াইয়ের ঘোষণা নিক্সন চৌধুরীর

প্রকাশিত: ৭:২৪ অপরাহ্ণ , অক্টোবর ১৫, ২০২০

ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে জেলা নির্বাচন কমিশন। আদালতে এই মামলার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন নিক্সন চৌধুরী। 

 

একটি ‘অডিও ক্লিপ’ ফাঁস নিয়ে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার উপনির্বাচনের পর থেকে নিক্সন চৌধুরীকে নিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন মহলের আলোচনা। এই অডিও ক্লিপকে কেন্দ্র করেই আচরণবিধি লঙ্ঘের অভিযোগ আনা হয়েছে নিক্সন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিক্সন চৌধুরী বলেন, আগেও বলেছি। মামলা হলে শুধু আমার বিরুদ্ধে নয়, ফরিদপুরের ডিসি এবং চরভদ্রাসনের ইউএনও’র বিরুদ্ধেও হওয়া উচিত।

 

তিনি বলেন, আমার এবং চরভদ্রাসনের ইউএনও’র ফোনালাপ প্রশাসনিক কারণে ডিসির কাছে দেয়া হতে পারে। কিন্তু সেটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিভাবে এসেছে তার জবাব ইউএনও বা ডিসি কেউই স্পষ্ট করে দিচ্ছেন না। আমি সাংবাদিকদের অনুরোধ জানাবো তাদের কাছ থেকে এই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে। এই অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা হওয়া উচিত।

এ সময় আচরণবিধি ভঙ্গ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেদিন সংবাদ সম্মেলনে আমি জানিয়েছিলাম, দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের আচরণে ক্ষুব্ধ স্থানীয়দের শান্ত করার জন্য প্রশাসনের অনুরোধে নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পর আমি ওখানে যাই। সেখানে মানুষকে শান্ত করার জন্য আমার যা বলার প্রয়োজন ছিলো বলেছি। আর আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য যেই অভিযোগ আনা হয়েছে সে বিষয়ে আদলতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবো। কিন্তু আমি আরো একবার প্রশ্ন করছি, আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে কেনো মামলা হচ্ছে না? তিনি নির্বাচনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমার এলাকার ইউএনও-কে আমার বাসায় পাঠিয়েছেন। এটি কী আচরণ বিধি লঙ্ঘন নয়? তাহলে তার বিরুদ্ধেও একটি পৃথক মামলা হওয়া উচিত। আশা করছি নির্বাচন কমিশন এই বিষয়টি আমলে নিয়ে পৃথক একটি মামলা করবে।

 

১৩ অক্টবর ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার উপ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হয়েও নৌকার প্রার্থীকে সমর্থন জানান নিক্সন চৌধুরী। বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র বিরোধিতা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলও চাওয়া হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচনে নিক্সন চৌধুরীর সমর্থনে নৌকা মার্কা জয়ী হয়। নির্বাচনের দিন রাতেই নিক্সন চৌধুরী দাবি করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে ভোটে হারাবর জন্য এবং বালু ব্যবসায়ী বিএনপি প্রার্থীকে জেতাবার জন্য ফরিদপুর প্রশাসন নির্বাচনের দিন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে। এরপরই অনলাইনে ছড়িয়ে দেয়া হয় একটি অডিও ক্লিপ। ১৩ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে নিক্সন চৌধুরী জানান, এই অডিও ক্লিপটি সুপার এডিট করা। তিনি এই কথাগুলো বলেননি। বরং তার বিরুদ্ধে সক্রিয় ব্যক্তিরা এটি তৈরি করেছে।

Loading