সীতাকুণ্ডে ধর্ষণ: আসামিদের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

প্রকাশিত: ১০:৫০ পূর্বাহ্ণ , অক্টোবর ১৪, ২০২০

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের একটি হোটেলে তরুণীকে (১৮) দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচ আসামির চারজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেপ্তার ইমন ইসলাম (২০) ও আলিম হোসেন (২২) জবানবন্দি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কৌশিক আহমেদ খন্দকারের আদালতে। মো. রিফাত(১৮) জবানবন্দি দিয়েছেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিনের আদালতে ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে’র আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন হোটেল ব্যবস্থাপক নুর উদ্দিন(৩৮)।

অপর আসামি হোটেলের পরিচালক নাজিমকে (১৭) কিশোর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক(তদন্ত) সুমন বণিক। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা আদালতে ধর্ষণের বিষয়ে নিজেরা জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। আদালতে তারা এ বিষয়ে আরও কি বলেছেন জবানবন্দি রেকর্ডের কাগজপত্র হাতে পেলে বিস্তারিত বলতে পারব।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার দুপুরে ওই তরুণী থানায় গিয়ে ছয় ধর্ষকসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এরপর তিন ধর্ষক ও ধর্ষণের সহায়তাকারী হোটেলের ব্যবস্থাপক ও এক পরিচালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার রাতে সীতাকুণ্ড পৌরসদরে হোটেল জলসা আবাসিকে ওই তরুণীকে(১৮) ডেকে আনেন ইমন ইসলাম।
একমাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ওই তরুণী ও ইমনের পরিচয় হয়। এরপর দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত সোমবার রাতে ওই তরুণীকে হোটেলে এনে একাধিকবার ধর্ষণ করে ইমন। রাতে সে তার আরও পাঁচ বন্ধুকে ডেকে আনে। তারাও পালাক্রমে ধর্ষণ করে। রাত দুইটার দিকে অসুস্থ অবস্থায় তরুণীকে হোটেলে কক্ষে ফেলে চলে যায়। পরদিন সকালে ওই তরুণী হোটেল থেকে সীতাকুণ্ডস্থ তার ফুফুর বাসায় যায়।
গ্রেপ্তার পাঁচ আসামি ছাড়াও পলাতক রয়েছে মো. রনি(২০), মো তারেক(২০) ও মো. নয়ন(২২) নামে তিন তরুণ। তারাও এজাহারভুক্ত আসামি। তাদের বাড়ি উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ভাটেরখিল গ্রামে।

Loading